ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘সাহিত্যের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কথা বলতেন শওকত ওসমান’

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে বক্তারা বলেন, শওকত ওসমান সাহিত্যের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কথা বলতেন।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মন্জুর এলাহী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান, শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম লিটু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষা সংগ্রামী ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিক ।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাবা সাহিত্যের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কথা বলতেন।তিনি সংসার ত্যাগী ছিলেন।জীবনে সৎ থাকার জন্যে অনেক কষ্ট করেছেন তবুও নিজেকে কখনো ছোট করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাবা আফসোস করে বলেছেন, ‘যেদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেদেশে আমি থাকবো না।

মন্জুর এলাহী বলেন, শওকত ওসমান ছিলেন রোল মডেল। তিনি প্রায় আমার অফিসে আসতেন। তিনি দেখতেন আমি সৎ ভাবে ব্যবসা করছি কিনা? তিনি আমার মধ্য সততার বীজ রোপন করে গেছেন। তিনি ছিলেন স্বপ্নের বাতিঘর।

শামসুজ্জামান খান বলেন-তিনি স্বকীয় সত্বার লেখক ছিলেন।সাহিত্যের সকল শাখায় তাঁর পদচারণা পাঠকদের ধন্য করেছে।

আহমদ রফিক বলেন - কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমান আমার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। জাতি হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে অসচেতন জাতি আমরা।আমাদের সাহিত্যের প্রতি দারুন ভাবে উদাসীন যার কারণে শিল্প সাহিত্যের কদর করা হয় না। তার লেখনিতে বিশ্ব সাহিত্যের ছাপ পাওয়া যায়।তিনি অত্যন্ত মানবতাবাদী ও সমাজ মনস্ক মানুষ ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আহমদ রফিককে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য,বাংলা কথা সাহিত্যে শওকত ওসমান বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের অন্যতম একজন। তিনি সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদ শক্তির বিরোধী একজন সক্রিয় কলম সৈনিক ছিলেন।তিনি আজন্ম শোষকের শ্রেণীর বিরুদ্বে লেখনীর মাধ্যমে সোচ্ছার ছিলেন।তাঁর রচিত "ক্রীতদাসের হাসি " নাটকটি স্বৈরশাসকের শাসন শোষণের বিরুদ্বে গণজাগরণের দিশারী।

কেআই/ এআর