মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
সাড়ে ৮ হাজার জনবল নিয়োগের প্রস্তাব
রিজাউল করিম
প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৩৬ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার
নতুন বছরে জনবল বাড়িয়ে কাজের গতি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সে লক্ষে নতুন বছরে ৮ হাজার ৫০০ জনবল নিয়োগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রতিটি বিভাগে নিজস্ব ভবন নির্মানের কাজও দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন পদস্থ কর্মকর্তা ইটিভি অনলাইনকে জানান, আট হাজার ৫০০ পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির পদে মোট ৫০০ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৬১৪টি। বাকিগুলো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ।
সূত্র আরও জানায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ অধিদপ্তরের সব জেলাতেই অফিস ছিল না। একটি অফিস দিয়ে তিন জেলার কাজ চলতো। বর্তমানে ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নতুন বছরকে সামনে নিয়ে বেশকিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন দেশের ৬৪টি জেলাতেই প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা দিয়ে এর কার্যক্রম চলছে। বিভাগীয় কার্যালয়গুলোতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এ অধিদপ্তরের নয় তলা বিশিষ্ট নিজস্ব কেন্দ্রীয় ভবন নির্মাণের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।
নতুন বছরে এ অধিদপ্তরের কাজ এগিয়ে নিতে নিরাময় কেন্দ্রের আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শয্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও খুলনাতে ৫ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্রকে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাদকাসক্তদের আটক করতে অস্ত্র সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কাজে নিয়োজিতদের ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ারও পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “দেশে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে জাতিকে বাঁচাতে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনায় নতুন করে অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক পরিকল্পনা আমরা নিজেরাই ঠিক করেছি। আশা করছি আগামীতে এ অধিদপ্তর আরও শক্তিশালীভাবে কাজ করতে পারবে।”
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পর এ অধিদপ্তরের কাজের গতি অনেক বেড়ে গেছে। ১৯৯০ সালে এ অধিদপ্তরের আত্মপ্রকাশের পর থেকে আজ পর্যন্ত ১৭শ’ জনবল নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে অধিদপ্তরের কাজের পরিধি বাড়াতে আরও ৮ হাজার জনবল নিয়োগের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার এটা অনুমোদন দিলেই আমাদের কাজের গতি অনেকগুণ বেড়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, আগের চেয়ে বর্তমানে অধিদপ্তরের জনবলের মধ্যে কাজের গতি এসেছে। আগে অন্যান্য অধিদপ্তরের লোক ডাকলে আসতো না। এখন তারাও আমাদের কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। তাদের সঙ্গে করে নিয়েই মাদক সম্রাটদের ডেরাতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এটা আরও বেগবান করতে আমাদের যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরকে/টিকে