‘পুত্র’র জন্য সবার মায়া
প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:২৫ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার
‘পুত্র’ চলচ্চিত্রটি দেখার পর আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। এই ছবির প্রতি আমার অন্যরকম মায়া বা ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেই এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করবো। এমনটাই বললেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আদুল আজিজ। তিনি বলেন, এ ধরণের একটি ছবি সামান্য কিছু হলে নয়, বরং সারা দেশে প্রদর্শিত হবে। যা নতুন একটা মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।
আজ ‘পুত্র’ ছবির মুক্তি উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পুত্র চলচ্চিত্রটি আগামী ৫ জানুয়রি সারা দেশে মুক্তি দেওয়া হবে।
আবদুল আজিজ আরো বলেন, এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের জন্য তারা আমার কাছে ৪০ থেকে ৫০টি হল চেয়েছে। কিন্তু আমি ছবিটি দেখার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি সর্বোচ্চ সংখ্যাক হলে এই ছবি মুক্তি দেব। এর জন্য কোনো টাকা পয়সা নেব না। এখানে যে প্রোগ্রাম হচ্ছে সেটার টাকাও আমি বহন করছি। আমি মনে করি এই ছবি দেখে সবাই সচেতন হবে। তাই এর প্রচার সবাইকে মিলে করতে হবে। যাতে মানুষ ছবিটি দেখে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা কাজী হায়াত। তিনিও ছবিটির প্রশংসা করে বলেন, আমাদের দেশে এমন ছবি আরো হওয়া উচিত। ‘পুত্র’ ছবিটি সবার মনের ক্ষুধা মেটাবে বলে মনে করি।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, এ ধরণের একটি ছবিতে কাজ করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে। এমন মায়াময় একটি ছবি আশা করি দর্শককে মুগ্ধ করবে। ছবিতে আমি বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছি। অটিজমে আক্রান্ত একটি ছেলের প্রতি একজন বাবার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বা তার সঙ্গে কি ধরণের ব্যবহার করলে তার ভালো হবে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমাদের দেশে এ ধরণের ছবি বেশি বেশি হওয়া উচিত। প্রতিবন্ধীদের প্রতি মায়া রাখতে হবে, ভালোবাসা রাখতে হবে। তাদেরকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। তাই আমি ছবিটি সবাইকে দেখার জন্য আহ্বান করবো। ‘পুত্র’ দেখে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।
এছাড়া অনেকেই ‘পুত্র’ ছবির সাফল্য কামনা করেছেন। তারা মনে করেন এই ছবি চলচ্চিত্রের জন্য সুবাতাস নিয়ে আসবে। অটিজমে আক্রান্ত মানুষদের প্রতি সবার ভালোবাসা তৈরি হবে। এই ছবি নতুন একটা মাত্রা যোগ করবে।
‘পুত্র’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জয়া আহসান, ফারিহা শামস সেওতি, শিশু শিল্পী লাজিমপ্রমুখ।
এর কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা পরিচালক হারুনুর রশিদ। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম মান্নু। চলচ্চিত্রটির পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। চ্যানেল আই এর তত্তাবধানে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়।
এসি/টিকে