ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রোধে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবাদ

প্রকাশিত : ০২:৫৪ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই এর নামের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগ আসছিল  অনেক আগেই। অনেক গণমাধ্যমের কাছে প্রতিকারের জন্য ধারনা দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। এর সঙ্গে নতুন  মাত্রা যোগ হলে খুলনা পাইকগড়াছা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহমান মিস্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।  রনাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর  যেন তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া না হয়।

তিনি লিখেছেন, যেখানে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাছাইয়ের নামে তালিকায় নাম ঢুকিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন, সেখানে তিনি মৃত্যুর পর এই  রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিতে পারেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার বিবেকের তাড়না আছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার  যেখানে বীর উপাধি পেয়ে যাচ্ছেন, সেখানে তিনি এই উপাধি ধারন করতে পারেন না।

প্রকৃতপক্ষে সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল, তখনই ভুয়া সনদ
নেওয়ার হিড়িক পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরাও পড়েছেন। ছয়জন সচিবও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকরির বয়স বাড়িয়ে নিয়েছেন। পরে তদন্তে তাদেরসহ আরও অনেকের অপকীর্তি ধরা পড়ে। এখনো প্রশাসনে এ রকম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কর্মরত আছেন বলে অনেকে মনে করেন।

মুক্তিযোদ্ধা আ. রহমান মিস্ত্রীর দাবি, বাছাইয়ের সুযোগ আরও অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হবেন এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সবিধা ভোগ করবেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিবেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে যদি  কেউ নকল বীরের মর্যাদা ও তকমা নিতে চায়, সেটা দেশ ও জাতীর জন্য লজ্জাজনক।


মুক্তিযোদ্ধা আ. রহমান মিস্ত্রীর দাবি, সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। নিশ্চিত করতে হবে, তালিকা
যাচাই-বাছাই এর নামে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যেন তালিকাভুক্ত হতে না পারে।

এসএইচ/