ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

৫১ তে এ আর রাহমান

প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৩:০০ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

অস্কায়জয়ী ভারতের সারা জাগানো শিল্পী এ আর রাহমান ৫১ তে পা রেখেছেন আজ। ১৯৯২ সালে গানের জগতে পা দেন তিনি। এরপর থেকে তিনি কয়েকশ’ জনপ্রিয় গানে সুর দিয়েছেন। সুফি গানই তার মৌলিকত্ব।

শীত, গ্রীষ্ম, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ, জন্ম-মৃত্যু সব নিয়েই তিনি গান রচনা করেন। তার গানগুলো চিরসজীবই নয় বরং মানুষের মুখে মুখেও। তিনি গান রচনার পাশাপাশি গানও গান। তার লাইভ পারফরমেন্স দেখার জন্য দর্শক মুখিয়ে থাকে। তার গানগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুদিতও হচ্ছে।

সংগীতে ২৫ বছর অতিবাহিত করেছেন এ আর রাহমান। সামনের সময়ে আরও জনপ্রিয় গান উপহার দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ আর রাহমান।

১৯৬৬ সালের ৬ জানুয়ারি মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার, ধর্মান্তরের পর নাম রাখা হয় আল্লাহ রাখা রহমান, সংক্ষেপে এ আর রহমান।
গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানকে অনেকেই ভালবেসে মোজার্ট অব মাদ্রাজ নামে ডাকেন। তার জীবনের অন্যতম অর্জন আসে ২০০৯ সালে। ওই বছর ৮১তম অস্কার আসরে ড্যানি বয়েলের আলোচিত সিনেমা ‘স্লামডগ মিলিনিয়র’র মিউজিক কম্পোজার হিসেবে সেরা অরিজিনাল মিউজিক স্কোর ও সেরা অরিজিনাল সং ‘জয় হো’র জন্য ডাবল অস্কার জেতেন।
এ আর রহমানের সঙ্গীত কৌশল বলিউডকে দিয়েছে নতুন ধরনের সাঙ্গীতিক অভিজ্ঞতা। তারই স্বীকৃতিতে মণি রত্নমের ‘রোজা’ সিনেমার দুটি গান জিতেছিল দুটি গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড। জিতেছেন একটি বাফটা, গোল্ডেন গ্লোব, চারটি ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ও ফিল্মফেয়ারসহ অসংখ্য পুরস্কার। এ ছাড়া ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সেরা ১০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় তার নাম স্থান পায়। ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় উপাধি ‘পদ্মভূষণ’ অর্জন করেন। সম্প্রতি ব্রিটেনভিত্তিক একটি ম্যাগাজিন তাকে ‘টুমরোস মিউজিক আইকন’ উপাধি দিয়েছে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

/ এআর /