আবারও ইলিশ রফতানির সুযোগ আসছে
প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার
চোরাই পথে ‘পাচার ঠেকাতে’ বৈধভাবে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি দায়িত্ব পাওয়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নারায়ন চন্দ্র বলেন, `সরকার ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখলেও অবৈধভাবে তা পাচার হচ্ছে। এতে রাজস্ব থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা যদি রফতানি করি, তাহলে ওপেন পথটা করে দেওয়া যায়, গোপনে যাওয়ার পথটা তখন অনেকটা সঙ্কুচিত হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, আমরা আরও একটি কারণে রফতানি করতে চাচ্ছি যে, আমাদের ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা রয়েছে। সেজন্য আমরা কিছুটা রপ্তানি করতে চাই।`
২০১২ সালের ১ অগাস্ট থেকে ইলিশসহ সব মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শুধু ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে অন্য সব মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
রফতানির অনুমতি দিলেও মা ইলিশ সংরক্ষণে গত কয়েক বছর ধরে সরকার যে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৩ দশমিক ৯৫ লাখ টন। আর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল ৫ লাখ টন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যায়, তার ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের মত।
বিশ্বের মোট ইলিশের ৭৫ শতাংশ আহরণ করা হয় বাংলাদেশে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষের জীবিকার উৎস এই ইলিশ।