বাসচাপায় কলেজছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার
বাসের চাপায় কলেজ ছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিষদভুক্ত সাত কলেজের ছাত্ররা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা কলেজের ছাত্র বিএম শাহীনের নেতৃত্বে তিতুমীর কলেজের শাহ আলী, কবি নজরুল কলেজের সাহেব মো. সোহেল, আবু হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বলা হয়, রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার পর চাপা দিয়ে শাকিল শেখ (২০) নামের এক ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে আর এক ছাত্রকে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ শাকিলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহত শাকিল শেখ সরকারি তিতুমীর কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায়।
আহত ছাত্রের নাম রায়হান ইসলাম (২২) তিনি একই কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাকে জাতীয় অর্থপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রায়হান জানায়, বিকেল ৫টার সময় মহাখালীর ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে আমতলী ক্রসিং হেঁটে তারা চার বন্ধু রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় হাত দিয়ে ইশারা দেওয়া সত্ত্বেও উত্তরাগামী কলেরা হাসপাতালের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে কেউ তেমন আহত না হলেও তারা উত্তেজনাবশত ওই বাসে উঠে পড়েন। এরপর চালককে সাবধান করতে শাসাতে থাকেন। একপর্যাযে চলন্ত বাসেই যাত্রী ও হেলপার মিলে তাকে (রায়হান) ও শাকিলকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেন। এতে পড়ে গেলে ওই বাসের পেছনের চাকা শাকিলের মাথার ওপর দিয়ে উঠে যায় এবং তার (রায়হান) হাত ভেঙ্গে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শাকিল।
শাকিলের বাড়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার শামুকখোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আক্কাস আলী।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত গাড়ী চালক ও হেলপারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, নিহত শাকিল ও আহত রায়হানের পরিবারকে অর্থ সহায়তা ও এমন ঘটনার পুনারাবৃত্তি যেন না ঘটে সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আরকে/এএ/