ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আমরণ অনশনে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা

প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০৬ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করেছে মাদ্রাসা শিক্ষকরা। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে নিবন্ধন পাওয়া সতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অনশন করছেন তারা।

এর আগে অব্যাহতভাবে অষ্টম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন ও প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েও সরকারের কাছ থেকে কোন ঘোষণা না আসাই এ অনশন করছেন তারা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছে তারা।

সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের আট দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেও সরকারের কাছ থেকে আমাদের দাবি আদায় করতে পারলাম না। তবে আমাদের আর পিছনে ফেরার পথ নেই। এখন আমরা কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের নতুন প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। সর্বশেষ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আমরণ অনশন করবো।

শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করে দিন। আমরা একই দেশে বৈষম্যের শিকার কেন হবো। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এতো সুযোগ দিচ্ছেন। আর আমরা বেতনও পাচ্ছি না। আমরা কী দেশের নাগরিক না?

এদিকে মঙ্গলবার প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদিনের তুলনায় উপস্থিতি বেড়েছে। বিভিন্ন ধরণের দাবি সংবলিত ফেস্টুন গলায় ঝুলিয়ে শিক্ষকেরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনকারী এ শিক্ষকেরা বলছেন, সারা দেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা আছে ১৮ হাজার ১৯৪টি। তবে এখন চালু আছে ১০ হাজারের মতো। এগুলোতে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষক আছেন প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার ছয় হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষক সরকার থেকে কিছু ভাতা পান। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকেরা মাসে আড়াই হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকেরা পান দুই হাজার ৩০০ টাকা। অন্যরা সরকার থেকে কোনো বেতন-ভাতা পান না। সরকার থেকে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ জন্য তারা দাবি করছেন রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে যেভাবে সরকারি করা হয়েছে, তাদেরও সেভাবে জাতীয়করণ করতে হবে।

আরকে//এসএইচ