ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

‘২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৯৩ শিশু’

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

২০১৭ সালে দেশে ৫৯৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৪৪৬ শিশু। অর্থাৎ এক বছরে শিশু ধর্ষনের হার বেড়েছে শতকরা ৩৩ ভাগ।

বেসরকারী সংস্থা বিএএসএফ- এর এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে প্রতিবন্ধি শিশু রয়েছে ৪৪ জন।

গত বছর গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ৭০ জন শিশু। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিল ৬৮ জন শিশু। একইভাবে ধর্ষনের পর হত্যার পরিমাণও বেড়েছে ২০১৭ সালে। এ বছর ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে ২২ জন শিশু। কিন্তু তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১।

গত বছর ধর্ষনের পর আত্মহত্যা করেছে ৭ জন এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৯০ জন শিশু।একই বছর বখাটেদের হামলায় আহত হয়েছে ৬২ জন মেয়ে শিশু। আহতদের মধ্যে অভিভাবকের সংখ্যাও কম নয়। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি অভিভাবক।

মঙ্গলবার অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট- আয়োজিত  ‘শিশু সুরক্ষা : আমাদের করনীয়’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডিসিএইচআর- প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা।

একই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, দেশে ২০১৭ সালে বেধরক পিটুনির শিকার হয়েছে ৬১ জন শিশু। কিন্তু তার আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৫। তবে পিটিয়ে হত্যা করার পরিমাণ গত বছর তার আগের বছরের চেয়ে কমেছে। গত বছর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ জন শিশু। কিন্তু ২০১৬ সালে ১৬ জন শিশু পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। একইভাবে কমেছে শিশু অপহরণ, বাবা মায়ের দ্বারা হত্যা ও নবজাতকের লাশ উদ্ধারের পরিমাণ।

২০১৬ সালে ১৮৩ জন শিশু অপহরণের শিকার হলেও গত বছর তার পরিমাণ ছিল ১৫২ জন। একই ভাবে ২০১৬ সালে বাবা মার হাতে খুন হয়েছিল ৬৪ জন শিশু। কিন্তু গত বছর এ সংখ্যা নেমে আসে ৪৮ এর ঘরে। ২০১৭ সালে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয় ২৪ জনের। কিন্তু তার আগের বছর সেটি ছিল ২৮ জনে।

ভয়াবহভাবে বেড়েছে পর্ণোগ্রাফির শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা। ২০১৬ সালে ১৫ জন শিশু এ নির্যাতনের শিকার হলেও ২০১৭ সালে ২৫ জন শিশু এ ভয়াবহতার শিকার হয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

কেন শিশু ধর্ষন বাড়ছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন এ্যাট হাই রিস্ক ( ডিসিএইচআর) - এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা বলেন, আমাদের সামাজিক অবক্ষয় এর জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আগের মামলাগুলোর কোনো সুরাহা না হওয়া, আইন শৃংখলা বাহিনীর গাফিলতিতে ধর্ষনের পরিমাণ বাড়ছে।

 

/এআর /