‘ক্ষুদ্র শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করবে’
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা শিল্পগুলো দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিময় করছে। এ শিল্পের কারণেই গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। আমরা যে টেকসই উন্নয়নের পথে হাঁটছি, দেশের এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সে পথকে আরও প্রশস্ত করবে।
আজ মঙ্গলবার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত “প্রবৃদ্ধি সহায়ক সাম্য” শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আক্তারুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে তা যেন সবার মধ্যে সমভাবে বণ্টিত হয়। তবেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, ছোট ছোট উদ্যোগ একটা সময় অনেক বড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্ম দেয়। দেশে বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে মাইক্রো এন্টারপ্রাইজের উন্নয়ন সময়ের দাবী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে মাইক্রো এন্টারপ্রাইজের কাঠামোগত উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে। তবে সমতা নিশ্চিত না করলে তা টেকসই হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নৈতিকতার স্খলন রোধের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।
কনফারেন্সের সমাপনী অধিবেশনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ মানুষের অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পিকেএসএফ- এর কার্যক্রমে যে মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের মূলমন্ত্র অনুসরণ করা হয় তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে পিকেএসএফের কার্যক্রম টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূলনীতি, সকলের অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করার উপর আলোকপাত করেন তিনি।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম বলেন, দেশের অগ্রগতি ও প্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালনে পিকেএসএফ বদ্ধ পরিকর। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পিকেএসএফ কাজ করছে। “কাউকে বাদ দিয়ে নয়”- এই মূলমন্ত্রকে ধারন করে পিকেএসএফ এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
সম্মেলন অধিবেশনসমূহে বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহবুবা নাসরীন, ড. একেএম নজরুল ইসলাম, ড. সালমা সুলতানা, ড. তৌহিদ রেজা নূর প্রমূখ।
সম্মেলনে তিনটি কর্ম অধিবেশনে মোট ৪২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
আরকে/টিকে