ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অফিসার্স ক্লাব নির্বাচনে প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি

তবিবুর রহমান

প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২৩ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

অফিসার্স ক্লাব ঢাকা নির্বাহী কমিটির ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯জানুয়ারি। নির্বাচন সামনে রেখে চলছে নানা ধরনের প্রচার প্রচারণা।

ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নিজেকে জানান দিতে মোবাইলে বিভিন্ন রকমের ক্ষুদে বার্তা পাঠাচ্ছে প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থী বিকালে ক্লাবে সশরীরে হাজির হয়ে দোয়া ও ভোট চাইছেন। ক্লাবের অনেক সদস্য নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচন নিয়ে সহ-সভাপতি প্রার্থী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এ  এম মোজাম্মেল হক একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আমি গত মেয়াদেও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। এসময়ে ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করেছি। ইতোমধ্যে ক্লাবের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

নির্বাচনে কিছু প্রতিশ্রুতিও দেন এই প্রার্থী। বলেন, ক্লাবে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো একটি বড় অডিটোরিয়াম। নির্বাচিত হলে এটা নিয়ে আগে কাজ করবো। আমি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আমি বিজয়ী হলে ক্লাবের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো। সর্বোপরি ক্লাবের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের আনন্দ, বিনোদনে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবো।

এব্যাপারে জানতে চাইলে যুগ্ম সম্পাদক পদের প্রার্থী প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ক্লাবের গতিশীল উন্নয়নের ধারাকে যুগোপযোগী, কল্যাণমুখী ও বিশ্বমানে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। অবসারপ্রাপ্ত এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ চৌকস সদস্যদের সস্মানজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবো। ক্লাবে সদস্যদের জন্য ব্লাড ব্যাংক স্থাপন এবং স্বাস্থ্য সেবায় সার্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করবো। ক্লাবের সদস্যদের শিশু সন্তানের জন্য দিবা যত্ম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবো।

এব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আন্ত:ক্যাডার বৈষমমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করবো। আধুনিক ফিটনেস সেন্টার নির্মাণে ও ক্লাবের ক্যান্টিনের মান উন্নয়নে কাজ করবো।

অফিসার্স ক্লাবে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্যসহ ২২পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৫ সরকারি কর্মকর্তা। প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান দায়িত্বরত সচিবসহ বেশ কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্লাবে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩১ জন। ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজার তিনশ।

অফিসার্স ক্লাব সূত্র জানায়, সংবিধান অনুসারে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন ক্লাবের সভাপতি। বর্তমানে এ পদে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম। এই পদটিতে কখনও নির্বাচন হয় না।

সহ-সভাপতি পদের সংখ্যা মোট তিনটি। এ তিন পদের বিপরীতে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম এ রাজেক, প্রফেসর ডা. মো মোজাহেরুল হক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএএম মোজাম্মেল হক, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান, আমিনুল ইসলাম, মো. গোলাম মোস্তফা, রওশন আরা জামান, ড. ফোরকান উদ্দীন আহাম্মদ।

সাধারণ সম্পাদকের  একটি পদে লড়ছেন তিন প্রার্থী। তারা হলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান ও  এম খালিদ মাহমুদ, মোশারফ হোসেন।

কোষাধ্যক্ষের একটি পদে যুগ্ম কর কমিশনার ব্যারিস্টার মোতাসিন বিল্লাহ ফারুকী ও মেজবাহ উদ্দীন।

যুগ্ম সম্পাদকের তিন পদের বিপরীতে লড়ছেন পাঁচজন। তারা হলেন কর কমিশনার নাহার ফেরদৌসি ঝর্ণা, ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসি খান, খন্দকার মোস্তান হোসেন, ডা. সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর, মো জাহাঙ্গীর আলম।

১৪টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- ডা. মো. এমদাদুল হক, এম এ মজিদ, আবদুল মান্নান, ডা. মনিলাল আইচ লিটু, আশরাফুল সেনা খান রোজি, মীর মনজুরুর রহমান, মনছুরুল আলম, শেখ মো: শরীফ উদ্দীন, ড. মো জাকেরুল আবেদীন (আপেল), স্বপন কুমার রায়, সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, মুহাম্মদ সাবিক সাদাকাত, একে বোরহানউদ্দীন, শ্যামাপদ, মো. আখতারুজ্জামান, ড. মো. হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, আসমা সিদ্দিকা মিলি, মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, শাহীন আরা মমতাজ(রেখা), আলমগীর হোসেন, শাহাদৎ হোসাইন, স ম, গোলাম কিবরিয়া, প্রাদ্যুৎ কুমার সাহা, মোতাহার হোসেন, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, জেসমিন আক্তার, রথীন্দ্র নাথ দত্ত, মাসুদ করিম, তানিয়া খান, আজহারুল ইসলাম খান, মমিনুল হক (জীবন), মোহাম্মদ শাহজালাল, দৈয়দা সালমা জাফরীন, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন মৌসুমি।