ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৫ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৬ শনিবার

সত্যজিৎ রায় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক। বাংলায় গোয়েন্দা ফেলুদা ও বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুর স্রষ্টা। চলচ্চিত্রে নতুন নির্মাণশৈলী আর যাদুকরি ছোঁয়ায় অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন অস্কার। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যু হয় ‘পথের পাঁচালি’ খ্যাত এই পরিচালকের। সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি আর সাধারণ কয়েকজন অভিনয় শিল্পী নিয়ে সত্যজিত রায় শুরু করেন পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের শ্যুটিং। কিছু কাজ করার পরই শেষ হয়ে যায় অর্থ। স্ত্রীর গহনা, বইপত্র বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে অর্থ জোগাড় করে শেষ করেন সিনেমার কাজ। বাংলায় অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে আজো দর্শক হৃদয় নাড়া দেয় পথের পাঁচালি। নতুন ধারার নির্মাণশৈলীর কারণে এই চলচ্চিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় গোটা বিশ্ব। ১৯৫৬ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয় পথের পাঁচালি। এভাবেই বিশ্ব চলচ্চিত্রে দাপুটে আবির্ভাব ঘটে সত্যজিৎ রায়ের। পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার- এই তিনটিকে একত্রে অপু ত্রয়ী বলা হয়। এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিত রায়ের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ বা ম্যাগনাম ওপাস হিসেবে বহুল স্বীকৃত। জনপ্রিয় গোয়েন্দা ফেলুদা ও বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রেরও ¯্রষ্টা সত্যজিৎ রায়। কিংবদন্তী এই চলচ্চিত্রকারের সিনেমার অন্যতম উপাদান ছিলো মানবতাবাদ। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবেও খ্যাতি কুড়িয়েছেন সত্যজিত রায়। ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। বর্ণময় কর্মজীবনে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। কলকাতার বাঙালি পরিবারে জন্ম সত্যজিত রায়ের। তবে, তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ী ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। বর্ণাঢ্য কর্মজীবন পেছনে ফেলে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল ৭১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সত্যজিত রায়।