বিজিএমইএ-তে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে ‘স্বাধীনতা পরিষদ’
প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:২০ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ’র আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার লক্ষ্যে এবং গার্মেন্ট মালিকদের সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। এর নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীনতা পরিষদ, বিজিএমইএ। আজ রাজধানীর বেস্ট ওয়েস্টার্ন লা ভিঞ্চি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা পরিষদের ৯ সদষ্যে আহবায়ক কমিটির নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সদস্য করা হয়েছে-আমিনুল ইসলাম, শহিদুল রহমান, গোলাম মওলা চৌধুরী, ওমর ফারুক, আয়েশা আক্তার, মাহমুদ হোসেন, আনসারুল আলম লিংকন এবং হুমায়ুন রশিদ জনিকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিজিএমইএ’র নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত না হয়ে সমঝোতার মাধ্যমে হচ্ছে। এতে করে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠনটি স্থবির ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অনেকক্ষেত্রে হয়রানি ও অবহেলার স্বীকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এমতাবস্থায় পোশাক শিল্পের উন্নয়নকল্পে গার্মেন্ট মালিকদের ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষে ‘স্বাধীনতা পরিষদ, বিজিএমইএ’ গঠন করা হয়েছে।
গার্মেন্ট মালিকদের নিয়ে নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের ২০১৭-১৮ মেয়াদের নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বিজিএমইএ। সংগঠনের বিদ্যমান দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নির্বাচন না করে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগে পরিচালনা পরিষদ গঠন করতে চান উদ্যোক্তাদের একটি অংশ। এজন্য ‘স্বাধীনতা পরিষদ-বিজিএমইএ গঠন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিজিএমইএ’র আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সময়ে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা সময়োপযোগী সহযোগিতার অভাবে ধীরে ধীরে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য বিজিএমইএ’র আওতাভূক্ত এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা। একইসঙ্গে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
বিজিএমইএ-কে আধুনিকিকরণ করাসহ গবেষণা সেল গঠন, কর্মচারীদের যুগোপযোগী ও সেবামুখী করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও তাদের লক্ষ্য বলে জানায় স্বাধীনতা পরিষদ। এছাড়া স্বাধীনতা পরিষদের সব সদস্যকে একটি অভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ে আসতে সংগঠনটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
/ একে / এআর