ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

স্বেচ্ছা মৃত্যু চেয়েছেন এক দম্পতি!

প্রকাশিত : ১১:৫৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন মুম্বাইয়ের এক দম্পতি। মুম্বাইয়ের ঠাকুরদ্বার এলাকার চরনি রোডে থাকেন নারায়ণ (৮৬) ও ইরাবতী(৮০)নামের সেই দম্পতি। ‘বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজের কোনো কাজে আসছেন না’ এই কারণ দেখিয়ে ইচ্ছামৃত্যু বা ইউথানেসিয়ার অনুমতি চেয়েছেন মুম্বাইয়ের এই দম্পতি।

রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে নারায়ণ লিখেছেন, ‘এখন এই সমাজে আমাদের কোনো উপযোগিতা নেই এবং আমরা কোনো অবদান রাখতে পারছি না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে রেহাই দেওয়ার এখতিয়ার আছে। সুতরাং ‘মৃত্যুর অনুমতি’ দেওয়ার ক্ষমতাও তাঁর থাকার কথা।

নারায়ণ লাবেতে মহারাষ্ট্র স্টেট ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের সরকারি চাকরি থেকে ১৯৮৯ সালে অবসর নেন। তাঁর স্ত্রী ইরাবতীর বয়স এখন ৭৯ বছর। মুম্বাইয়ের একটি হাইস্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। ইরাবতী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই বয়সে আমরা স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য জীবিত থাকতে চাই না। আমাদের জীবনে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তারপরও আমরা আর বেঁচে থাকতে চাইছি না।’

স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের আইন চালু আছে। সাধারণত অসুস্থতার কারণে জীবন সংকটে থাকা রোগীদের পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়ে থাকে।

এ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের অক্টোবরে এক পর্যবেক্ষণে পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যুর স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত বলেছিলেন, যদি কোনো রোগী কোমায় চলে যায় বা অবস্থা অত্যান্ত শোচনীয় হয় তাহলে সে ক্ষত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে।

সূত্র: এনডিটিভি, ইন্দুস্তান টাইমস

এম/টিকে