ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ বছরে খুন হয়েছেন ৪ জন শিক্ষক

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:১২ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬ রবিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ বছরে খুন হয়েছেন চারজন শিক্ষক। এর মধ্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস ও এস এ তাহের হত্যা মামলায় জামায়াতপন্থী শিক্ষক, জেএমবি, ও ইসলামি ছাত্র শিবির জড়িত বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। আর অধ্যাপক শফিউল ইসলাম হত্যাকান্ডের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায় স্বীকার করা হয় আনসার আল ইসলামের নামে। সর্বশেষ অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায়ও, ধর্মভিত্তিক কোন জঙ্গি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৪ থেকে এ পর্যন্ত ১২ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, সংলগ্ন বিনোদপুর ও নগরীর শালবাগান এলাকায় খুন হয়েছেন চারজন অধ্যাপক। সর্বশেষ শনিবার নগরীর বোয়ালিয়ার শালবাগান এলাকায় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বা আনসারউল্লাহ বাংলাটিম এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জেএমবির দুই নেতাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে নি¤œ আদালত। এ মামলা বর্তমানে উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নিখোঁজ হন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস এ তাহের। দু’দিন পর বাসার পাশের ম্যানহোলের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় তার লাশ। এ হত্যা মামলায় জামায়াতপন্থী এক শিক্ষকসহ দু’জনকে মৃত্যুদন্ড এবং শিবিরের দুই কর্মীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। এ মামলাটিও উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পাঁচ ঘন্টার মাথায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২’ নামের একটি পেজ খুলে  হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এই মামলার চার্জশীটে নাম এসেছে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। সহকর্মীদেরকে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে এমনটাই আশা করছেন এই শিক্ষক।