নেপালে ইন্টারনেটের ব্যবসাও হারাচ্ছে ভারত
প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:০৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার
হিমালয় পর্বতের দেশ নেপালে ইন্টারনেট মার্কেটে একচ্ছত্র আধিপত্য হারাতে যাচ্ছে ভারত। নতুন বছরের শুরুতেই স্বল্পমূল্যে দেশটিতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে যাচ্ছে চীন, এমন খবরে ভারতের ব্যান্ডউইথ ব্যবসায়ীদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেপাল ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলোর উপর পুরোমাত্রায় নির্ভরশীল ছিল। বিশেষকরে ভারতের দুই জায়ান্ট কোম্পানি ভারতী এয়ারটেল ও টাটা কম্যিউনিকেশনস লিমিটেড এর নির্ভর করতে গিয়ে দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটের গতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই নেপালের সরকারি কর্মকর্তারা এর জন্য তাদের একচ্ছত্র প্রতিযোগিতাহীন বাজার ব্যবস্থাকেই দুষছেন।
নেপাল টেলিকম ও চায়না টেলিকম দুই দেশের মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের পর ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়টি সামনে আসে। চীনের কেরুং থেকে নেপালের রাসুয়াগদি পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এ লাইন টানা হয়েছে। নেপালের টেলিকম কোম্পানির মুখপাত্র প্রতিভা ভাদ্য বলেন, এটি আমাদের জন্য ভারতের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া এর মাধ্যমে আমরা নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাব বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন ও বিশ্বস্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। গত বছর দুই কোটি ৮০ লাখ মানুষ দেশটিতে ইন্টারনেটে প্রবেশ করেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও চীন নেপালে তাদের প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করছে। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে ‘বাফার’ রাষ্ট্র নেপালে দুই দেশেরই অবকাঠামো খাতসহ বিভিন্ন খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। ২০১৬ সালে চীন তাদের বন্দর ব্যবহারের জন্য নেপালকে অনুমতি দেয়। এতে কয়েক যুগ পর প্রথমবারের মতো ভারতের উপর বাণিজ্য নির্ভরশীলতা কমে নেপালের।
গত বছর নেপাল চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোডের সঙ্গে যুক্ত হন। চীন ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বাণিজ্য প্রসারণে সিল্করোডের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয় ওয়ান বেল্ট বাস্তবায়ণে দেশটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এদিকে শুধু সড়ক আর নৌ পথই নয়, চীনের সঙ্গে রেলপথের যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে নেপাল। চীনের তিব্বত থেকে নেপাল পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হবে বলে জানা গেছে।
সুত্র: জিনহুয়া
এমজে/