ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যে কোন বয়সে স্মৃতি ধারালো রাখার ৫ উপায়

প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

একদিন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে তো আমরা একদিনের বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আর এভাবে প্রতিনিয়তই আমরা পুরনো স্মৃতি ভুলে যাচ্ছি। আবার নতুন স্মৃতি সংগ্রহ করার সামর্থ্যও কখনো কখনো হারিয়ে ফেলছি। লক্ষ্য করছি, স্মৃতি সংগ্রহে আমাদের সামর্থ্যে পরিবর্তন আসছে।

ধরুণ, আপনি রান্নাঘরে গেছেন কোন একটা কারণে, কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ভুলে গেলেন কি কারণে আপনি সেখানে গেছেন। কিংবা পারিবারিক একজনের নামটাই আপনার হঠাৎ মনে পড়ছে না।

আবার চাকরির ইন্টারভিউতে গেছেন, কিন্তু জানা সব বিষয় ভুলে গেছেন। এমনকি কোন রাস্তা দিয়ে এসেছেন, সেটিও ভুলে গেছেন। এতে আপনার চাকুরিটাই আর হলো না।

সত্যি বলতে কি, মানুষের যে কোন বয়সে স্মৃতিভ্রম হতে পারে। স্মৃতি থেকে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে পারে সব সময় ব্যবহৃত ও অতি পরিচিত কিছু বিষয়। এতে আমরা অনেকেই মনে করি, এটি ডিমেনশিয়া বা বৃদ্ধ বয়সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

তবে বিজ্ঞান বলছে, এটি বয়সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এটি সংশ্লিষ্ট মস্তিস্কের বিভিন্ন কোষের বিশৃঙ্খলার সঙ্গে। মস্তিস্কের কোষের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেই মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

যুগযুগ ধরে মস্তিস্ক ও স্মৃতি নিয়ে করা গবেষণাগুলো থেকে বাছাই করে হারভার্ড মেডিকেল স্কুল তাদের এক প্রবন্ধে স্মৃতিশক্তি সতেজ ও তাকে রক্ষা করার উপায় জানিয়েছে। হারভার্ড হেলথ পাবলিশিং নামের ওই প্রবন্ধে স্মৃতিশক্তি ধারালো রাখার ৫ উপায় তুলে ধরা হয়েছে।

১. শেখা: স্মৃতি সতেজ ও ধারালো রাখার প্রথম উপায় হলো শেখা। নতুন নতুন বিষয় শেখার মাধ্যমে স্মৃতি কর্মক্ষম হয়। বলা হয়ে থাকে, অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। তাই মস্তিস্ককে কখনো অলস থাকতে দেওয়া যাবে না। বৃদ্ধ বয়সে উচ্চতর ও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করলে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর যারা মেধা-সংক্রান্ত কাজে লিপ্ত আছেন, তারা ব্যাডমিনটন ও দাবা খেলা খেলতে পারেন।

২. সব অনুভূতিকে ব্যবহার করা: আবেগকে নাড়া দেয়, এমন সব পড়ালেখা করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। কোন কিছু শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সব ধরণের অনুভূতিকে কাজে লাগাতে হবে।

৩. নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন: বলা হয়ে থাকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। তাই বয়স বাড়ছে, একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে স্মৃতিশক্তি-এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা বিশ্বাস করে যে, তাদের স্মৃতিশক্তির উপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, তারা দ্রুতই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই সবার আগে দরকার আত্ম বিশ্বাস।

৪. গুরুত্বহীন বিষয় স্মৃতি থেকে বাদ দেওয়া: আপনার মৃত দাদীর জন্মদিন আপনার মনে রাখার কোন দরকার নেই। ওই সময়ে যে বিষয়টি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কেবল সেই বিষয়টি নিয়েই চিন্তা করুন, ভাবুন, স্মরণ করুন। এতে আপনি ইকনোমিক হোন। অযথা চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আর যে বিষয়টি হাত বাড়ালেই পাবেন, তা সবসময় হাতের কাছে রাখুন। যেমন-ক্যালেন্ডার, ম্যাপ, শপিংয়ের তালিকা, ফাইল ফোল্ডার ও লোকজনের পরিচিত বই।

৫.যেটা জানতে চান, বারবার মনে করুন: আপনি যেটা দেখেছেন, শুনেছেন, পড়েছেন তা মনে করতে চাইলে আওয়াজ করে বলুন নয়তো লিখুন। এর মাধ্যমে আপনার স্মৃতিকে আপনি জোর করে এতে যুক্ত করছেন। এতে আপনার স্মৃতির কোষগুলো কর্মক্ষম হবে। ধরুণ, আপনি কারও সঙ্গে পরিচিত হলেন, পরক্ষণেই সেটা ডায়রিতে লিখে রাখুন। এতে আপনার মস্তিস্ক কর্মঠ থাকবে।


সুত্র: এনডিটিভি
এমজে