ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাইড শেয়ারিং সেবা মন্ত্রী সভায় অনুমোদন

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

শর্ত সাপেক্ষ অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবার অনুমোদন দিল মন্ত্রীসভা সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১১শর্তে এ অনুমোদন পায় সেবাটি

২০১৬ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা আরম্ভ করে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা। এরপর থেকেই সরকারের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়। শুরুর দিকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়ে নরম অবস্থান নেয় সরকার। আর তখন থেকেই এ বিষয়ে আইন পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তারই অংশ হিসেবে আজকের মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস নীতিমালা উপস্থিত হয়। মন্ত্রী সভায় যে সব শর্ত দেওয়া হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

১) এ ধরনের সেবা দিতে বিআরটিএর অনুমোদন বা নিবন্ধন লাগবে।

২) ঢাকায় কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রামে ৫০টি এবং অন্যান্য এলাকায় ২০টি যানবাহন থাকতে হবে একেকটি প্রতিষ্ঠানের।

৩) নিবন্ধন ফি ১ লাখ টাকা। আর বাৎসরিক নবায়ন ফি ১০ হাজার টাকা।

৪) ব্যক্তি মালিকানায় একজন একটির বেশি গাড়ি এই সেবায় দিতে পারবেন না।

৫) গাড়ি এই সেবায় দিলে আলাদা ফি দিতে হবে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিতে বছরে ১ হাজার টাকা আর মোটরসাইকেলে ৫০০ টাকা।

৬) এক সঙ্গে একাধিক অ্যাপে সেবা দেয়া যাবে না। অ্যাপ পরিবর্তন করতে চাইলে দুই মাস পরে করতে হবে।

৭) ভাড়া সরকার নির্ধারিত ট্যাক্সি ক্যাবের চেয়ে বেশি নেয়া যাবে না। ট্যাক্সি ক্যাবে বেইজ বা যাত্রা শুরুর ভাড়া ৫০ টাকা আর প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে । সিএনজিতে এটি বেইজ ৪০ টাকা ও প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা রয়েছে। মোটরসাইকেলের ভাড়া এখনও নির্ধারিত নেই।

৮) কোম্পানিগুলোকে যাত্রীর ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য কমপক্ষে ৩ মাস সংরক্ষণ করতে হবে।

৯) সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যাত্রীও বিআরটিএ’তে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

দেশে উবার, স্যাম, পাঠাও, আমার রাইড, মুভ, বাহন, চলো অ্যাপে, ট্যাক্সিওয়ালা, ওই খালি, ইজিয়ার, লেটস গো ইত্যাদি নামে বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাপভিত্তিক এই পরিবহন সেবা দিচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর সিএনজিগুলোকে অ্যাএপসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

//এস এইচ এস//