ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল কর: পবা

প্রকাশিত : ০২:২৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

যশোর-বেনাপোল সড়কের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল করার জোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানায়।

মানববন্ধনে পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, পুরান ঢাকার মডার্ন ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত, পবার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ, গবেষক পাবেল পার্থ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর-খুলনা মহাসড়কের যশোর অংশের ৩৮ কিলোমিটার ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ৩৮ দশমিক ২০০ কিলোমিটার পুননির্মাণের জন্য যথাক্রমে ৩২১ কোটি ৫৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা (মোট ৬৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা) ব্যয়ে দুটি প্রকল্প হাতে নেয়। যশোর-খুলনা মহাসড়কে দুই হাজার ৫৫৫টি গাছ এবং যশোর-বেনাপোল

মহাসড়কে ২০০ অধিক গাছ রয়েছে, যেগুলোর বয়স ১৭০ বছরের বেশি। প্রকল্প দুটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদিত হয়। কিন্তু কোন সমীক্ষা ছাড়াই এখন রাস্তা সম্প্রসারণের নামে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মানববন্ধনে বলা হয়, রাস্তার এ গাছগুলো আমাদের ঐতিহ্য। গাছগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। এগুলো কেটে ফেললে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই গাছগুলোকে আইল্যান্ডে রেখে মহাসড়ক সম্প্রসারণ করা হোক।এতে ঐতিহ্য রক্ষা পাবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্রও সংরক্ষিত হবে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করা যেতে পারে।

পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, আমরা যশোর–বেনাপোল মহাসড়ক সম্প্রসারণের নামে গাছ কাটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী, পরিবেশবাদী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণকে পরিবেশ বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি এ পরিবেশ বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিযে সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল করা, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের টেন্ডার কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় মহাসড়কের দুই পাশের গাছগুলো রেখে মহাসড়ক সম্প্রসারণ করা। মহাসড়কের দুই পাশের গাছগুলো অক্ষত রেখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক মহাসড়কটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া।

আরকে//এসএইচ