চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে অবস্থান
প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ ছাত্র পরিষদ। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির আয়োজন করে ওই সংগঠন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায় গেটের পাশে ব্যানার লাগিয়ে কয়েকজন ছাত্র বসে আছেন। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘৩৫ চাই’।
অবস্থান কর্মসূচীতে এক লিখিত বক্তব্যে সরকারের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার জোর দাবি জানায় সাধারণ ছাত্ররা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, যখন ৫০ বছর ছাড়ালো, তখন প্রবেশের বয়স ৩০ হলো। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১ হলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হওয়া উচিত? ২২ লাখ চাকরিজীবীর বেতন তুলনামূলক হারে বাড়িয়ে পাশাপাশি ২২ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে এবং অবসরের বয়স ২ বছর না বাড়িয়ে সুযোগ করে দিলে কী এমন ক্ষতি হতো?
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর, এ সীমানা প্রাচীর বাংলাদেশের লাখো কোটি ছাত্র সমাজকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন উপেক্ষিত তখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাবস্থায় ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে যুব সমাজ আশার আলো দেখেছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২১তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করা সুপারিশ করে। নবম জাতীয় সংসদে ১৪তম অধিবেশনে ৩৫ বছর করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ইমতিয়াজ বলেন, এই দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি হতে প্রেস ক্লাবের সামনে আমরা অবস্থান করছি। সরকার এরপরও দাবি না মানলে পরবর্তীতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে।
অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনে সংগঠনের সহ-সভাপতি মামুনূর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ আলী, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল, ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরকে// এআর