‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগতে চাই মাস্টারপ্ল্যান’
প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ কে এম আশিকুর রহমান
বাংলাদেশ এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার অভাবে ভুগছে, তখন বাংলাদেশের জন্য সুযোগের দরজা খুলে গেছে। ২০১৬ সালে বিশ্বে কর্মক্ষম জনসংখ্যা কর্মে অক্ষম জনসংখ্যার অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ কর্মক্ষম জনসংখ্যায় এগিয়ে আছে।
এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৫টি দেশের জনসংখ্যাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ওইসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এ দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা ভোগ করছে। ইউএনডিপির মতে, এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হলো কোনো দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার, অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার আধিক্য। যখন এই কর্মক্ষম জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি থাকে, তখন ওই দেশ ডেমোগ্রাফিক বোনাসকালে অবস্থান করছে বলে ধরা হয়। মনে করা হয়, এ জনসংখ্যা কোনো না কোনোভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে, যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এদেশের কর্মক্ষম জনশক্তি ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৩ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। তবে ২০০৭ সালে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে প্রবেশ করলেও বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এ কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে সঠিকভাবে কাজে লাগতে প্রয়োজন মাস্টারপ্ল্যান। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। বিপুল কর্মশক্তিকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তন করা দরকার। কারণ বর্তমান বিশ্বে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিপুল জনগোষ্ঠীকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করা গেলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সঠিক ব্যবহার হবে বলে মনে করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ কে এম আশিকুর রহমান। সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিমত দেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ইটিভি প্রতিবেদক তবিবুর রহমান ।
একুশে টিভি অনলাইন: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের (কর্মক্ষম মানুষ) সুযোগ কাজ লাগতে তথ্য-প্রযুক্তি খাত কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?
ড. আশিকুর রহমান : সাধারণভাবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যার বোনাসকাল) বলতে আমরা ১৫ থেকে ৬৫ বছরের কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে বুঝি । এগুলোকে আমার তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথম- ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়েসী জনসংখ্যা। এদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে লাগিয়ে দক্ষ করে করে গড়ে তুলতে পারি। এ শ্রেনির জনসংখ্যা দিয়ে প্রযুক্তির সবোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি। যেমন প্রোগ্রামার থেকে নতুন সফটওয়্যার তৈরির কাজ করাতে পারি। প্রযুক্তির নুতন কিছু আবিস্কার করা সম্ভব তাদের দিয়েই।
দ্বিতীয়ত- ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী জনসংখ্যাকে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণ এরা কোন না কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী। এরা বেশি সময় দিতে পারবে না। এ শ্রেনির জনসংখ্যাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যেমে তথ্য প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত- ৩৫ থেকে ৬৫ পর্যন্ত যাদের বয়সে জনগোষ্ঠীকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বিধি জানাতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারে মাধ্যমে এ শ্রেণীর জনসংখ্যা জনশক্তিতে পরিণত হবে।
একুশে টিভি অনলাইন: চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (কর্মক্ষম মানুষ) কে কাজে লাগিয়ে উন্নতি লাভ করছে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি কি কি উদ্যোগ নিলে বিপুল জনশক্তি সম্পদে রূপান্তর করতে পারবো?
ড.আশিকুর রহমান: আমাদের দেশে প্রযুক্তিকে নির্ভর করে অন্য দেশ থেকে কাজ নিয়ে আসার মতো যোগ্য লোকের অনেক অভাব রয়েছে। এই জায়গায় চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ববাজার থেকে কাজ নিয়ে আসার জন্য একজন দক্ষ সমন্বয়কারী আছে। চীনে বিশ্ববাসী বিনিয়োগ করার কারণ চীনে শ্রমের দাম কম। যেমন আই ফোন কোম্পানির কথা বলি। এটি আমেরিকার কোম্পানি হলেও এর পরিকল্পনা কিন্তু চীনে হয়েছিলো। এই কোম্পানির কাজটা আমরা করতে পারতাম যদি আমাদের সেই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ ভালো থাকত। আমাদের সমন্বয়কারী থাকত। আমাদের দেশে বিশ্ববাসীর কাজে থেকে সমন্বয়কারী লোকের সংখ্যা অনেক কম। ফলে আমরা চীনসহ অন্যান্য দিক থেকে পিছিয়ে আছি। এখানে আমাদের একটু দুর্বলতা আছে। বিশ্বের নানা দেশে আমাদের জনশক্তি কাজ করে এমনকি নামীদামি কোম্পানিগুলোতেও কিন্তু সরকার-বেসরকারিভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো উদ্যোগ দেখি না। বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থা তৈরি করতে হবে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করার চেষ্টা করতে হবে। সরকার-বেসরকারিভাবে এসব লোকগুলো চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের মাধ্যেমে বিশ্ববাজার থেকে বিভিন্ন কাজ আনতে হবে। আবার সময় মতো কাজের মান ঠিক রেখে কোম্পানিকে দিয়ে দিতে হবে। তাহলে বিশ্ববাজারে আমাদের শ্রমিক নিতে আগ্রহ তৈরি করবে। কাজ আসার পরে ধরে না রাখতে পারলে সেটিও কিন্তু সমস্যা। যেমন ডেল কোম্পনির কল সেন্টারের কাজ পেয়েছিলো ভারত তবে। সঠিকভাবে সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে একবছরের মাথা গুঠিয়ে কানাডাং নিয়ে গেছে। কোন সুযোগ আসলে সেটা সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। ফলে বিশ্ববাজারে কাজের সুষ্ঠু বাজার নিশ্চিত হবে। আর আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগনো যাবে।
এছাড়া নিরাপত্তা ডিভাইস ব্যবহার বিষয় আমাদের দেশের মানুষ সঠিকভাবে জ্ঞান নেই। ব্যাংকে যারা কাজ করছে তারাও এ সর্ম্পকে খুব বেশি জ্ঞান নেই । ফলে নিরাপত্তা ডিভাইস ব্যবহার জানার জন্য বাহিরের দেশের প্রশিক্ষক আনা হয়েছে। এ বিষয় বিদেশে আমাদের বহু জনশক্তি কাজ করছে। কিন্তু তাদের দেশে আনা হয়নি। এখানে আমাদের অনেক সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদি সরকার তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারত তাহলে আমাদের দেশের আসত প্রশিক্ষক হিসাবে।
একুশে টিভি অনলাইন: আমাদের কর্মক্ষম জনশক্তির তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন?
ড.আশিকুর রহমান : তথ্য প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। দরকার দক্ষ জনবল। আমাদের দেশে কর্মক্ষম মানুষের অভাব নেই। অভাব আছে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবলের। একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৫ সালে অনলাইন ব্যাংকিং চালু হলেও বছর বছর পার হয়েছে কিন্তু এখন পুরোপুরি অনলাইন ব্যাংকিং চালু হয়নি। এ অবস্থা তথ্য প্রযক্তি প্রসার বাড়তে ও কর্মক্ষম মানুষের কাজে লাগতে সরকারি- বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে সব প্রতিষ্ঠানে চাপ সৃষ্টি করতে আইটি প্রসার বাড়ানোর জন্য। বেশকিছু বিষয় সরকারের উদ্যোগ আছে কিন্তু কাজের তেমন সমন্বয় নেই। সমন্বয় যদি ভালোভাবে করা যেত তাহলে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার বাড়বে।
একুশে টিভি অনলাইন: তথ্য প্রযুক্তিতে আমাদের সম্ভাবনা কেমন?
ড.আশিকুর রহমান : আগামী সম্ভাবনা নির্ধারণ করবে বর্তমানের আমরা কেমন সমন্বয় করতে পারবো। আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তি আগামী সম্ভাবনা অনেক রয়েছে। দিনে দিনে প্রযুক্তি আকার বাড়ছে। আস্তে আস্তে সব ক্ষেতে আইটি নির্ভর হচ্ছে। একারণে আমি বলব আগামীতে তথ্য প্রযুক্তিতে প্রচুর প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হবে। এজন্য এখন থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
একুশে টিভি অনলাইন : তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিদেশের শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন?
ড.আশিকুর রহমান: বুয়েট থেকে যারা পড়াশুনা করে তাদের অধিকাংশই বিদেশে চলে যায়। আমার ব্যাচের আমি ছাড়া সাবাই এখন বিদেশ। এর একটি মাত্র কারণ এদেশে তারা তেমন সম্মান ও মর্যদা পায় না। তারা ভালো বেতন ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ পায় না। কিছু শিক্ষার্থী পড়ালেখা শেষ করে আবার দেশে ফেলছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশে থাকলে দেশ উন্নতি হত কি না আপনি মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু মাত্র ভালো বেতনের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদেশ যাচ্ছে এমনটা না। কিছু ছাত্রের স্বপ্ন থাকে বিদেশে পড়বে। এগুলোকে আমারা চাইলেও আটকাতে পারবো না । কিন্তু যারা বেতন বা কাজের পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য বিদেশ যায়। তাদের আটকাতে পারবো। এজন্য দেশে মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানি তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাজের ও আশেপাশের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দেশের কাজের পরিবেশ তো হঠ্যাৎ করে পরিবর্তন করা যাবে না । যেমন যানজট, ধূলাবালি এগুলো তো চাইলে পরিবর্তন করতে পারবেন না। এজন্য বড় পরিকল্পনা করা দরকার হয়। এছাড়া পরিবেশগত পরিবর্তনের জন্য তেমন উদ্যোগ দেখি না।
একুশে টিভি অনলাইন : তথ্য প্রযুক্তিতে কি কি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব?
ড.আশিকুর রহমান : আমাদের দেশে একটি জনবহুল দেশ হওয়া সত্তেও এখানকার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সুযোগের অভাবে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী নিজেদের উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী উন্নত প্রশিক্ষণের এবং সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদেরকে সরকারের উদ্যোগ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। তবে আমার মনে হয় আর একটু অগ্রগতি হলে ভালো হয়। এছাড়া শুধু রাজধানীবাসীর জন্য নয়; এটা গ্রামেও এর প্রসার ঘটাতে হবে। আমাদের মতো হয় গ্রাম এলাকায় আইটি প্রসারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই । যারা কারণে গ্রামের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী জাভা প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ দিক নির্দেশনা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জাভা প্রোগ্রামারদের কি পরিমাণ কাজের চাহিদা তা না জানার কারণে জাভা প্রোগ্রামিং সেক্টর বাংলাদেশে পিছিয়ে আছে।
একুশে টিভি : নারীদের তথ্য প্রযুতিতে এগিয়ে নিতে কি উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে?
ড.আশিকুর রহমান : আমার মনে হয় এখন মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। নারী পুরুষ এখন আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। একই সঙ্গে নারী পুরুষ একসঙ্গে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে।
একুশে টিভি অনলাইন : মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড.আশিকুর রহমান : একুশে পরিবারকেও ধন্যবাদ।
**‘আশিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক। ক্যাপিট্রিং বিজ্ঞান বিভাগ, কানাডা আলবার্টা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন ২০১৬ সালে। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি-এ স্নাতকোত্তর গবেষক হিসেবে কাজ করেন। পাঠকের জন্য সাক্ষাৎকারটি সম্পূর্ণ দেওয়া হলো।’