পাটের ব্যবহারে এখন আর নেই কোন সীমাবদ্ধ
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৯:৩৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার
চটের বস্তা আর ব্যাগের মধ্যে এখন আর সীমাবদ্ধ নেই পাটের ব্যবহার। সোনালী আঁশ আর পাটকাঠির বহুমূখী ব্যবহারে প্রায় ১শ ৮০টি পণ্য বাজারজাত করছে বাংলাদেশ। পাটের বস্তা ও সুতার চাহিদা যতটা, তার চেয়ে বেশি এখন রূপান্তরিত পাটজাত পণ্যের কদর।
পাট রপ্তানীকারকদের সংগঠন জুট এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ৬শ থেকে ৭শ কোটি টাকার পাটপণ্য বিদেশে রপ্তানী হয়। ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫টি দেশের বাইরেও এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে।
ঐহিত্যগতভাবে পাটের ব্যবহার শুধুমাত্র বস্তা, ব্যাগ বা সুতায় সীমাবদ্ধ ছিল বহুদিন। এখন সোনালী আঁশের বহুমাত্রিক ব্যবহারে সমৃদ্ধ হয়েছে পাটের ঐতিহ্য।
পাটের গতানুগতিক ব্যবহারের ধারনা থেকে বেরিয়ে পাটজাত পণ্যে বৈচিত্র আনতে কাজ করছে ১০ টি মাঝারি এবং ৩৮টি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান।
পাটতন্তু দিয়ে মেয়েদের সৌখিন ব্যাগ, কোট, টিস্যুবক্স, জুতা, স্যান্ডেল এমনকি বিভিন্ন ধরনের পোশাকও তৈরি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান।
উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ সুবিধা দেয়া হলে এ শিল্পে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার সম্ভাবনা শতভাগ বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
পাশাপাশি পাটের ব্যবহার কিভাবে সর্বত্রগামী করা যেতে পারে, তা নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।