ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

ফতোয়া: আত্মঘাতী বোমা হামলা হারাম

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

আত্মঘাতী বোমা হামলা ইসলামের বিরুদ্ধে জঘণ্য অপরাধের শামিল। আর ইসলাম কখনো তার ধর্মের সুরক্ষায় আত্মঘাতী বোমা হামলা সমর্থন করে না। তাই আত্মঘাতী বোমা হামলাকে হারাম ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেছেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী এক হাজার ৮০০ ওলামা।

সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ওলামারা এ ফতোয়া জারি করেন। ওই হামলায় বহু নিরীহ মানুষের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার শীর্ষ আলেমদের এ ফতোয়া সংবলিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছে পাকিস্তান সরকার। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন বলেন, সর্বসম্মতভাবে দেয়া এই ফতোয়া সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও সাম্প্রদায়িকতার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।


এদিকে আলেমদের দেওয়া এ ফতোয়াকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর কারণ হিসেবে সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফতোয়া দেওয়া আলেমদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করতো। তাদের এ ফতোয়ার ফলে মূর্খ জঙ্গীরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ ফতোয়ায় স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাম্প্রদায়িকতার দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন `আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের` মুহাম্মাদ আহমাদ লুধিয়ানভী ও আওরঙ্গজেব ফারুকি।


এ ছাড়া আরেক স্বাক্ষরকারী হলেন `ফাদার অব আফগান তালেবান` খ্যাত মরহুম সালিম-উল হকের পুত্র হামিদ-উল হক। পাকিস্তানের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বইটি প্রকাশ করেছে। এ বই প্রকাশের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের লাগাম টেনে ধরা, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

বইটিতে ওলামারা বলেছেন, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জিহাদ ঘোষণার কোনো এখতিয়ার নেই। তাদের বোমা হামলার মাধ্যমে ইসলামের মূল শিক্ষা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের পর থেকে পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও নানামুখী সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে বিশ্বের কাছে পাকিস্তান একটি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সুত্র: দ্য ডন
এমজে/