ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

উচ্চ স্বরে গান: প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

রাজধানীর আর কে মিশন রোডের একটি বাসায় নাজমুল হক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বাসার ছাদে উচ্চ স্বরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের ছেলে জে এম নাসিমুল হক। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার নিয়ে আর কে মিশন রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির নবমতলায় থাকতেন মো. নাজমুল হক (৬৫) । তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।

ওই বাসার ছাদের ‘কমিউনিটি হলে’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।

নাজমুল হকের ছেলে জে এম নাসিমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত এবং তাঁর একবার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। রাতে বাসার ছাদে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনের ভাতিজা হৃদয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে এত জোরে গান বাজানো হচ্ছিল যে তাঁদের ফ্ল্যাটের জানালা ও মেঝে কাঁপছিল । তাঁর অসুস্থ বাবা ঘুমাতে পারছিলেন না। তখন তিনি নিচে গিয়ে কেয়ারটেকারকে বিষয়টি বললে আলতাফ হোসেন এসে রূঢ় আচরণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরে গান বন্ধ হয়ে যায়।

নাসিমুল বলেন, এর জের ধরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলতাফ হোসেন, তাঁর স্ত্রী, ভাতিজা হৃদয় এবং আরও সাত-আটজন নিচে জড়ো হন। তাঁরা তখন কেয়ারটেকারকে দিয়ে তাঁকে নিচে ডেকে আনেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা, বোন ও স্ত্রীও নিচে নামেন। নামার সঙ্গে সঙ্গেই আলতাফ হোসেন, হৃদয়সহ অন্যরা তাঁর ওপর হামলা করেন। তাঁর বাবা তখন থামাতে গেলে সবাই মিলে তাঁকেও মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর বাবা মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ এবং মৃত নাজমুল হকের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে।

সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ইনটেনশনালি তারা প্রস্তুত হয়েই ছিল। শারীরিক অ্যাসলটের পরেই হয়তো বৃদ্ধ মানুষ পড়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

 

এম