ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

সোনালী আঁশের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমেছে সরকার

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার

দুই দশক আগেও পাট উৎপাদনে প্রথম সারিতে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, রাবার-প্লাস্টিক-পলিথিনের দাপটে সেই স্বর্ণযুগ আর নেই। কাঁচা পাট রপ্তানির চেয়ে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে আছে ভারত ও চীন। তাই দেশে সোনালী আঁশের সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমেছে সরকার। সিনথেটিক ফাইবার ব্যাপক আকারে বিশ্ব বাজার দখল করে নেয়ায়, একসময়ের একচেটিয়া আধিপত্যে থাকা সোনালী আঁশের কদর ক্রমেই কমতে থাকে। পাট ও পাটজাত দ্রব্যের সংকট ও সমাধান নিয়ে এক জরিপে দেখা গেছে ১৯৭৩ সালে মোট রপ্তানী আয়ের ৮৯.৯ শতাংশ অর্জন হয় পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে, প্রায় ৩শ ১৩ দশমিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ট্রেড ম্যাপ ডেটাবেইসের তথ্যমতে, ২০০৫ সালে বিশ্বে মোট কাঁচা পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও ভারতের ২ দশমিক ১ শতাংশ। এবং পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভারতের ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ যেখানে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে মোট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে ২৮৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে ভারত বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট আমদানি করে এবং সেই কাঁচা পাট থেকে পাটজাত দ্রব্য তৈরি করে বিশ্ববাজার থেকে মোট আয় করে ৩৯৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিমন্ত্রী জানালেন, পাটের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। একই সাথে পাটের ব্যবহার বাড়াতে দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক সব কাজেই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।