ওটা বিক্ষোভ নয়, আনন্দ মিছিল ছিল: কাদের
প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার
ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের হই চইয়ের ঘটনাটি বিক্ষোভ ছিল না, ছিল ‘আনন্দ মিছিল’। এমনটা দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।
রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তখন তারা আনন্দ মিছিল করছিল। আর এটাকে বলে বিক্ষোভ মিছিল! সেক্রেটারিকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল! এটা অন্যায়, এটা কষ্টকর।” এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে ওবায়দুল কাদেরের নাম ধরে হই চই করতে থাকেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তখন ওই কার্যালয়েরই একটি কক্ষেই বৈঠক করছিলেন।
এক পর্যায়ে ওবায়দুল কাদের বেরিয়ে এসে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন বলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ ছিল, ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে উপকমিটির সহ-সম্পাদকের পদ দেওয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ফেইসবুকে উপকমিটির সহ-সম্পাদকদের নাম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের তখন তাদের বলেন, কোনো সহ-সম্পাদকের পদ চূড়ান্ত করা হয়নি। যেসব নাম বিভিন্নভাবে এসেছে, সেগুলো বাতিল। যাচাই-বাছাই করে তিন মাস পর সহ-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
তবে সংবাদপত্রে বিষয়টি যেভাবে ছাপা হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। “লিখেছে, গতকাল বিক্ষোভ করেছে, কাদের সাহেবকে কনফাইন করছে… আমি তো এসব দেখলাম না। আমি তো নামাজ পড়ছিলাম। তখন দরজা বন্ধ ছিল।”
ওবায়দুল কাদের বলছেন, যারা তার কাছে গিয়েছিলেন, তাদের তিনি উপ কমিটি নিয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার পর তারা আনন্দ প্রকাশ করেছেন, এটা বিক্ষোভ নয়। “তাদের কাছে যখন বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে, তাই তারা আনন্দ মিছিল করছিল। আর এটাকে বলে বিক্ষোভ মিছিল!”
ঘটনার সময় কোনো সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না দাবি করে কাদের বলেন, “তাহলে তারা শুনে লিখেছে। শুনে কেন লিখবে? এটা তো বিক্ষাভ না, আনন্দ মিছিল করেছে। ফেইসবুকে যা বেরিয়েছে তা নিয়ে জানতে গেছে। পরে খুশি হয়ে তারা আনন্দ মিছিল করেছে।”
আওয়ামী লীগের উপকমিটি নিয়ে যা হয়েছে, তাকে ‘স্রেফ ভুল বোঝাবোঝি’ হিসেবে বর্ণনা করেন কাদের।
তিনি বলেন, “এখানে স্থগিত বা বাতিলের বিষয় নেই।… আসলে এখানে সহ সম্পাদক বিষয় নয়, বিষয়টা হলো সাব কিমিটি। ১৯ ডিপার্টমেন্টের সাব কমিটি হবে, আগে দুই-একটা বিভাগ ছাড়া সাব কমিটি ছিল না।
“এবার সমস্যাটা কেন হয়েছে? যাদের উপ কমিটিগুলো চূড়ান্ত হয়নি, সেই সম্পাদকদের কাছে অফিস সেক্রেটারির স্বাক্ষরে খসড়া কমিটি পাঠানো হয়েছিল। এটা প্রস্তাবিত বিষয়, এটা করতে গিয়ে সেটা চলে গেছে ফেইসবুকে এবং ফেইসবুকে যাওয়াতে বিভ্রান্তি হয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কমিটি চূড়ান্ত হলে সভাপতি তাতে সায় দিলে তারপর সেখানে তার (কাদের) সই নেওয়া হবে। সেই কমিটির আদেশ তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “এই যে অনুপ্রবেশকারী, তিন মাস সময় নিয়েছি এদের চিহ্নিত করতে। কিছু লোক আছে পোস্টার ব্যানার বানিয়ে অভিনন্দন এবং ফেইসবুকে প্রচার করে… বিষয়টা দেখতে হবে। সহ সম্পাদক পদ নিয়ে সিটিং এমপিদের এরা ডিস্টার্ব করে। এসব কারণে যাচাই বাছাই পদ্ধতি বেছে নিয়েছি।”
কেআই/টিকে