ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সিরিয়ার আফরিনে প্রবেশ করেছে তুর্কি বাহিনী

প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১০:৪৮ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার

সিরিয়ার সীমানার মধ্যে অবস্থিত আফরিন সিটমহলে প্রবেশ করেছে তুর্কি সেনাবাহিনী। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরিম।

আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রধানমন্ত্রী বিনালী ইলদিরিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তুরস্কের গুলবাবা গ্রাম থেকে স্থল বাহিনী স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সিরিয়ার ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত আফরিন অঞ্চলে প্রবেশ করে”।

ঐ অঞ্চলে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে “সেফ জোন” তৈরি করার তুরস্ক সরকারের উদ্দেশ্যের কথাও জানান বিনালী।

সিরিয়ার কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টি এবং এর সামরিক শাখা ওয়াইপিজি তুরস্ক সরকারের কাছে “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” হিসেবে চিহ্নিত। তুরস্কের ধারণা তাদের সাথে দেশটিতে নিষিদ্ধ  কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টির আতাত রয়েছে। সংগঠনটি তুরস্কের মধ্যে থেকেই কয়েক দশক ধরে তুরস্কের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আছে।

তুরস্ক সীমানায় কুর্দিস্থানের সাথে একটি করিডোর তৈরি করতে পারে বলে তুরস্ক সরকার আশংকা করে।

দেশটির বার্তা সংস্থা আনাদোলু’র বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানায়, আফরিনের ভেতরে ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত প্রবেশ করেছে তুর্কি বাহিনী। সাজোয়া যান সজ্জিত এ অভিযানে দেশটির পদাধিক বাহিনী ও স্পেশাল ফোর্স অংশ নেয়।

তবে ইতোমধ্যেই এ অভিযান “খুব দ্রুততম সময়ে শেষ হবে” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।

পাশাপাশি এ অভিযানে কুর্দিদের কোন রকম সহায়তা না করতে সকল পক্ষকে হুশিয়ার করেন এরদোগান। দেশটির বুর্সায় এক জনসভায় তিনি বলেন, “যারাই ঘর থেকে বের হয়ে তাদের (কুর্দি) সাহায্য করার কথা ভাবছেন, জেনে রাখুন আমাদের সেনা আপনার ঘাড়ের ওপরেই নিঃশ্বাস ফেলছে”।

তুরস্কের এ অভিযানের কথা ওয়াইপিজিও নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আফরিনের বিলবিল জেলার দুই গ্রামে আক্রমণ করেছে তুরস্ক।

উল্লেখ্য, কুর্দি ইস্যুতে অনেক দিন ধরেই তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ইতোমধ্যে, সিরিয়া সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে তুর্কী যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে সিরিয়া।

সূত্র: আল-জাজিরা

//এস এইচ এস//টিকে