চেরনোবিল ট্রাজেডির ৩০তম বার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার
চেরনোবিল ট্রাজেডির ত্রিশতম বার্ষিকী আজ। ১৯৮৬ সালের এই দিনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউক্রেনে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিক ৩১ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পরমাণু তেজস্ক্রিয়তায় মারা যায় অন্তত ৪ হাজার মানুষ। প্রায় ৬ লাখ মানুষ এখনো তেজস্ক্রিয়তার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে আজো পরিত্যক্ত প্রিপিয়াট শহর। আশপাশের অঞ্চলে এখনো জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু।
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার যে হাত ধরে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা, আকস্মিক দুর্ঘটনায় মুহুর্তেই তা হয়ে উঠে সভ্যতা বিনাশী। আর ইতিহাসে চেরনোবিল হয় কলঙ্কিত নাম।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় থেমে যায় পাশের প্রিপিয়াট শহরের কোলাহল। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যন্ত্রের আওয়াজের পরিবর্তে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। বিস্ফোরণের পরপরই শহরের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়। নিত্যকার ব্যস্ততা ভুলে চিরদিনের জন্য প্রিপিয়াট হয়ে যায় কনক্রিট গ্রেইভইয়ার্ড বা ইট পাথরের কবরস্থান।
ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় শুধু ইউক্রেন বা রাশিয়াতেই নয়, পরমাণুর তেজস্ক্রিয় কনা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের আকাশেও।
দুর্ঘটনার ত্রিশতম বার্ষিকীতে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় নিহতদের স্মরণ করছে ইউক্রেনবাসী।
এদিকে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিত্যক্ত পরমাণুর বিচ্ছুরণ ঠেকাতে এখনো তৎপরতা চলছে। বিশাল অবকাঠামো দিয়ে প্লান্টের নিচে থাকা বাকি ইউরেনিয়াম ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখানে পরবর্তী বিস্ফোরণ ঘটলে তার মাত্রা হবে হিরোশিমার থেকেও ১০ গুণ শক্তিশালী। যা ধ্বংস করে দিতে পারে ইউক্রেন, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিশাল অংশ।