ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক গুহা

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

এ যাবৎকালের  সবচেয়ে দীর্ঘ ও বৃহৎ সামুদ্রিক গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে। সাক আতুন নামের এই গুহা মেক্সিকোয় অবস্থিত। আয়তনে এটি  ৩৪৭ কিলোমিটার বা ২১৬ মাইল লম্বা। প্রাগৈতিহাসিক কালের এই গুহাটি দোস ওহোস নামের ৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অপর একটি গুহার সঙ্গে যুক্ত।


মেক্সিকোর তুলুম বিচ রিসোর্টের কাছে পাওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ও দীর্ঘতম গৃহাটি ‘প্রাচীন মায়া সভ্যতার ওপর আলো ফেলবে’ বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


সম্প্রতি স্কুবা ডাইভাররা পানিভর্তি এই সুড়ঙ্গ গুহাটি আবিস্কার করেছেন; যা অনেকটাই অন্তঃসলিলা নদীর মতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুহা আবিস্কারের ফলে ওই অঞ্চলে গড়ে ওঠা এবং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন মায়া সভ্যতা বিষয়ে অনেক রহস্যের সমাধান মিলবে।

অসংখ্য পার্শ্ব-সুড়ঙ্গ থাকায় এটা ডুবুরিদের কাছে গোলকধাঁধার চেয়ে কম নয়। প্রথমে এটিকে দুটি আলাদা সুড়ঙ্গ হিসেবে মনে করা হয়েছিল। পরে সুদক্ষ ডুবুরি আর বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণ হয়, আসলে এটি একটি গুহারই অংশ। অনেকে মনে করছেন, প্রাচীন মায়ান শহরগুলো মাটির তলার এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পরম্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর মাধ্যমে শহরের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত।

গুহাটির  অবস্থান পূর্ব মেক্সিকোর কোয়ান্টানা রু রাজ্যের টুলুমের কাছে; যার নামকরণ করা হয়েছে স্যাক অ্যাক্টন। গ্রান অকুইফারো মায়া প্রজেক্টের (জিএএম) অধীনে চালানো অনুসন্ধানে এর খোঁজ পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান ও সংরক্ষণ বিষয়ে গবেষণা করা হয়। ইউকাটান উপদ্বীপ অঞ্চলের পানির তলার জগৎ পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কাজ করা হয়। কিছুদিন কাজ করার পর প্রথম দিকে অনুসন্ধান দল মাটির নিচে কয়েকটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পায়। এরপর ব্যাপক তল্লাশিতে দেখা যায়- এগুলো ৩৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ-গুহার অংশ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

জিএএমের অনুসন্ধান দল যখন প্রথমে গুহাটির মাপজোখ করে, তখন স্যাক অ্যাক্টনের দৈর্ঘ ২৬২ কিলোমিটার (১৬৩ মাইল) বলে জানা যায়। ওই সময়ে ডুবুরিরা এর পাশেই আরেকটি সুড়ঙ্গ পান যার দৈর্ঘ্য ছিল ৮৫ কিলোমিটার; যা দোস ওজোস নামে পরিচিত। প্রথমে তারা দুটি আলাদা টানেল মনে করলেও পরে বুঝতে পারেন আসলে একটি গুহারই অংশ।

জিএএম পরিচালক ও আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজিস্ট জুয়েরিলামো ডি এন্ডা বলেন, দোস ওজোস আদতে স্যান অ্যাক্টনেরই অংশ। এ আবিষ্কার মায়াসভ্যতা থেকে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের সময়কার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
সূত্র :সিএনএন
/ এআর