ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন সন্দ্বীপের আবু সুফিয়ান

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৮:২৭ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

ছয়দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো আবু সুফিয়ান এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। খাদ্যনালীতে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে তিনি এখন কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। তাঁকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১২ লাখ টাকার। তবে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।

চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি। আওয়ামী রাজনীতির একজন সক্রিয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে সব মহলে তার গ্রহণযোগ্যতা সমাদৃত। রাজপথ থেকে ময়দানে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছেন অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দীক্ষিত হয়ে তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একসময়ের রাজপথ কাঁপানো ওই নেতা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়েন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী হিসেবে প্রতিপক্ষের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি। আজও তার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন প্রবীণ এই নেতা। জানা যায়, রাজনীতি করতে গিয়ে ২০০১ সালে বিএনপি নেতা কর্মীদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ত্যাগী এই নেতা। আজও সেই প্রহারের চিহ্ন তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন তাদের ঘনিষ্টজনরা। আর এ বিএনপি সন্ত্রাসীদের ওই নির্যাতনই কাল হলো আবু সুফিয়ানের জীবনে।


জানা যায়, গত ছয়মাস ধরে তিনি খাদ্যনালীতে ক্যান্সারজনিত রোগে ভূগছেন। তিনি ডেলটা হাসপাতালের ডা. রেজাউল শরীফের তত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২৭টি রেডিও থেরাপির পর্যায়ক্রমে ৬টা কেমোথেরাপি দিতে হবে তাকে। এখন তিনি রেডিও থেরাপি নিচ্ছেন। তবে ডাক্তার জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডা. শরীফ জানান, খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের ফলে আবু সুফিয়ানকে ২৭ টি রেডিও থেরাপি দিতে হবে। যদি রেডিও থেরাপি কাজ না করে তাহলে তাকে কেমোথেরাপি দিতে হবে।

তবে দূরারোগ্য ব্যধি কাটিয়ে আবারও রাজপথে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন আবু সুফিয়ান। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের কাছে তিনি বলেন, ‘এ জীবনে দল করে কখনো সুবিধা গ্রহণ করিনি, শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যাকে ভালবেসেছি এটাই আমার এ জীবনের আনন্দ। আমার চাওয়ার কিছু নাই। আমি বাঁচতে চাই,কবে সুস্থ হবো জানি না। আবার ফিরতে চাই রাজনীতির মাঠে। সামনে নির্বাচনে জননেত্রীর পক্ষে কাজ করবো, এ জন্য যেকোনো ত্যাগ শিকারে আমি প্রস্তুত আছি। মন এখনো রাজপথে। জয় বাংলা শ্লোগান দিতে পারবো কিনা জানি না,আমার কণ্ঠে সেই আওয়াজ কমে আসছে।’

চিকিৎসা সম্পর্কে তার ছেলে আজিজুর রহমান বলেন,আমার বাবা আজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির জন্য তার জীবনে অনেক ত্যাগ রয়েছে। বাবার অবস্থা তেমন ভালো না, খেতে কষ্ট হয়। সন্তান হিসেবে যা আমার জন্য অনেক কষ্টকর। বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, তিনি যেন আমার বাবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।

কেআই/ এমজে