ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাঘের হামলায় নিহতদের পরিবারের মানববেতর জীবনযাপন

প্রকাশিত : ০১:৩২ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাঘের হামলায় নিহতদের পরিবারগুলোর দিন কাটছে মানবেতরভাবে। যারা বাঘের আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের নানা রকম অপবাদ দেওয়া হয়। বয়কট করা হয় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে। কর্মসংস্থানের অভাবে অতিকষ্টে দিন পার করছেন এসব অসহায় নারী। 

পুর্ব-ধানখালি গ্রামের সোনামনি। প্রথম স্বামী চরণ সরদারকে বাঘে নিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় পরিবার ও প্রতিবেশিদের নানা লাঞ্চনা-গঞ্জনা। অপয়া বলে সামাজিকভাবে দূরে রাখা হয় তাকে। কয়েক বছর পর সোনামনির আবার বিয়ে হয় দেবর ভবন সরদারের সঙ্গে। সুন্দরবনে মাছ ধরতে গেলে তাকেও বাঘে নিয়ে যায়।

শুধু সোনামনিই নন, এমন শত শত বিধবার জীবনের গল্প একই রকম। সামাজিক গঞ্জনার পাশাপাশি আর্থিক দৈন্যতায় জীবন কাটছে তাদের। মাছের রেণু ধরে, নদীতে জাল বেয়ে, অথবা পরের কাঁথা সেলাই করে কোনভাবে জীবনযাপন করছেন তারা।

এসব বিধবা নারী যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, এমন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সরকারি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সরকারি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে বিধবাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের তথ্যমতে সুন্দরবন সংলগ্ন চারটি ইউনিয়নে ৫১৯ জন বিধবা রয়েছেন। তবে স্থানীয়দের মতে এমন বিধবা নারীর সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি।

এসএইচ/