এক দশকে খেলাপী ঋণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা
প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:৫১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার
গত এক দশকে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শেষ দশ বছরে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে ঋণের এ টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় খেলাপি ঋণের তালিকায় ১ হাজার ৯৫৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে খেলাপী ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকাও প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
অর্থমন্ত্রী এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঋণের পরিমাণ, ঋণ গ্রহীতা ৮ হাজার ৭৯১টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঋণ আদায় করা সম্ভব হয়নি এমন ১ হাজার ৯৫৬ জন খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করেন।
খেলাপী এ ঋণের বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সব চেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় ঋণের অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৭২ হাজার ৫০ কোটি টাকা”।
সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে এখন করদাতার সংখ্যা ৩১ লাখ।
তিনি একই সঙ্গে বলেন, “এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। কারণ ১৬ কোটি মানুষের দেশে করদাতার সংখ্যা হওয়া উচিত ১ কোটি ৬০ লাখ।”
২০২১ সালের মধ্যে করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথাও জানান অর্থমন্ত্রী।
এস এইচ এস//টিকে