ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পক্ষ-বিপক্ষ চিনতে হবে

প্রকাশিত : ০৯:৫৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেছেন, আমার-আপনার করের টাকায় সুবিধা নিচ্ছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা। তাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হচ্ছে।

আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে কালান্তর ফাউন্ডেশনের সংগঠনে তাদের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

`নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস`-এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তুরিন আফরোজ বলেন, কারা আমাদের বন্ধু আর কারা আমাদের শত্রু তা চিনতে জানতে হবে। কার সাথে আমি পথ চলব, কার সাথে চলব না তা বুঝতে হবে।

একাত্তরে পাক বাহিনী ও তার দোসরদের চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বলেন, এসব ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা আমাদের জানতে হবে। যারা জামায়াতকে রাজনৈতিক মদদ দেয় তারা আমাদের শত্রু। এসময় তিনি জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক মদদদাতা হিসেবে বিএনপিকে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি তার স্বাতন্ত্র্যবোধ হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর বলেন, ২০০৪ সালে  তারেক জিয়া শিবিরের সম্মেলনে বললেন, শিবির ও ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। কিন্তু সেই মা কে? তা আমরা জানলাম না। ২০০৭ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত কাদের মোল্লা এক সাক্ষাৎকারে বললেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তারা হয় ভারতের দালালি করতে গিয়েছে নয়তো নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গেছে। তাহলে কী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গিয়েছিল নাকি ভারতের দালালি করতে গিয়েছিল তা প্রশ্ন থেকে যায়।

তুরিন আফরোজ এই সময় বলেন, যতোবারই ট্রাইব্যুনালের রায় হয়েছে ততোবারই জামাত হরতাল ডেকেছে। আর সেই হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান বুঝা যায়।

এ প্রসঙ্গের অবতারনা করে তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশকে ভাগ করা হয়েছে। হ্যাঁ, ভাগ হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চেই একটি দেয়াল উঠে গেছে। আপনি হয় দেয়ালের উপারে থাকবেন। না হয় দেয়ালের ওপারে থাকবেন। দেয়ালের এপারে থাকলে আপনাকে পতাকা বিশ্বাস করতে হবে। মানচিত্র বিশ্বাস করতে হবে। দেশ, স্বাধীনতা বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস না করলে ওপারে চলে যান। আপনাদেরকে বরণ করার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অনেকে বসে আছেন।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফের সার্ক সম্মেলন নিয়ে করা একটি মন্তব্য দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আবারো উত্তেজিত করেছে।

 

এএ/টিকে