আন্তর্জাতিক কাস্টমস্ দিবস আজ
প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০০ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার
আজ ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক কাস্টমস্ দিবস। বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৭৯টি দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ’।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে আজ সকাল ৮টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা রাজস্ব ভবন প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। সন্ধ্যা ৬টায় সোনারগাঁও হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করেছে সংস্থাটি। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে দিসবটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসের সফলতা কামনা করে পৃথক বানী দিয়েছেন। তারা বানীতে কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বানীতে বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ কাস্টমস আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত রাজস্ব আহরণের মূল কাজ করে। একইসাথে তারা অপঘোষণা, চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ অর্থায়ন প্রতিহত করতে কাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এনবিআর আমদানি-রফতানির পণ্য শুল্কায়ণ ও খালাসের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বস্ত করদাতাদের দ্রুত সেবাপ্রদান, আমদানি-রফতানি সরলীকরণ,কন্টেইনার ও কার্গো স্ক্যানারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ ট্রেড ফ্যাসিলিয়েশনের চলমান ধারা ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বানীতে বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাংলাদেশ কাস্টমস এনবিআরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, চোরাচালান প্রতিরোধ, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এ বিভাগের দৃশ্যমান অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণে কাস্টমসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি অবাধ,সমতামূলক ও নিরাপদ পরিবেশ গঠনে তাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ কাস্টমস নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরো গতির সঞ্চার করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এবারের কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন। এর পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে আলোচনা এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আর