সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে টালিউডে শোক
প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী আর নেই। হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাংলা স্বর্ণযুগের এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর প্রয়াণে টালিউডের অনেক তারকা শোক প্রকাশ করেছেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
‘দীর্ঘ দিনের বন্ধুকে হারালাম, অনেক সিনেমাতে এক সঙ্গে কাজ করেছি। এখন আমি কথা বলার অবস্থায় নেই।’
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
‘ভাবতেই পারছি না। আর কিছু বলার অবস্থায় নেই আমি।’
সন্ধ্যা রায়
‘খুবই দুঃখের খবর। আমি দিদি বলে ডাকতাম। আত্মীয়ের মতোই সম্পর্ক ছিল আমাদের। খুবই প্রাণবন্ত ব্যবহার ছিল দিদির। আমি মর্মাহত। এ কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না। শুধু এটুকু বলতে পারি, কাজ দিয়েই মানুষ ওকে মনে রাখবেন।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
‘এই ক্ষতির কোনও পরিমাপ হয় না। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
‘খারাপ খবর দিয়ে দিন শুরু হল। মায়ের মতো ছিলেন। আমার ভালবাসার মানুষ। অনেক সৌভাগ্য আমার যে তাঁর স্নেহ পেয়েছি। অনেক স্মৃতি, অনেক গল্প, অনেক আদরের কথা মনে পড়ছে। উনি সকলের কথা ভাবতেন। অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। যা রেখে গেলেন, যা শিখিয়েছেন তার একটুও করতে পারলে খুশি হব। তাঁর আরও সম্মান পাওয়া উচিত ছিল।’
ইন্দ্রাণী হালদার
‘ঘুম থেকে উঠে খবরটা পেলাম, শকিং নিউজ। ওর সঙ্গে কোটি কোটি স্মৃতি রয়েছে।’
গৌতম ঘোষ
‘আমার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের পরিচয় ছিল তাঁর। সকালে শুনলাম উনি আর নেই। এ তো ভাবতেই পারছি না। বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।’
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
‘কী বলব বলুন? একজন অভিভাবককে হারালাম।’
নন্দিতা রায়
‘বেণুদির রান্নাঘর নামের একটা শো করতাম তাঁর সঙ্গে। আমার মনে হয় ওটা ফার্স্ট কুকারি শো যা তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সারাক্ষণই দাদার গল্প করতেন। আজ খবরটা পেয়ে প্রথমেই মনে হল, এ বার দাদার সঙ্গে দেখা হবে।’
[১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম হয় সুপ্রিয়া দেবীর। মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই একটু একটু করে অভিনয় জগতে আসতে শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাংলা সিনেমা জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’-র নীতা হোক কিংবা ‘দেবদাস’–এর চন্দ্রমুখী, কিংবা ‘দুই পুরুষ’-এর বিমলা কিংবা ‘বন পলাশীর পদাবলী’র পদ্মা, প্রত্যেকটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে বাঙালি দর্শকের কাছে। উত্তম কুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলার খ্যাতিমান অভিনেতাদের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। দক্ষ অভিনয়, অনবদ্য কৌশল এবং তাঁর মুন্সিয়ানার জন্য ফিল্মফেয়ার, পদ্মশ্রী, বঙ্গ বিভূষণ সহ একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।]
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/