শব্দদূষণ এখন জীবনবিনাশী ‘শব্দ-সন্ত্রাস’
প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
বেশির ভাগ মানুষ নির্বিবাদে উচ্চশব্দের ভয়ংকর যন্ত্রণা সহ্য করলেও শব্দদূষণ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করা যায়। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে উচ্চশব্দ নিয়ে এক আলোচনায় এমন কথা বলা হয়।
‘শব্দদূষণ এখন জীবনবিনাশী শব্দ-সন্ত্রাস; গভীর সংকটে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য! সমাধানের উপায় কী?’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ও সুন্দর জীবন।
আলোচনার শুরুতে বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, উচ্চশব্দের প্রধান উৎস যানবাহনের অহেতুক হর্ন, ভবন নির্মাণের সামগ্রী, মাইক আর ইট গুঁড়া করার যন্ত্র। এছাড়া গায়েহলুদ, জন্মদিন, বিয়ে, নববর্ষ, ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানে অতি উচ্চমাত্রার শব্দ সৃষ্টিকারী সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করার ফলে প্রতিবেশীদের রাতের ঘুমের সমস্যা হয়, হৃদ্রোগীদের হৃৎকম্পন বেড়ে যায়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে, গর্ভবতী মা ও শিশুদের ওপর উচ্চশব্দের প্রভাব আরও মারাত্মক।
আলোচনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন। তিনি বলেন, শব্দদূষণ বন্ধে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। এছাড়া মানুষও আইন মানতে চায় না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রেজওয়ানুল হক বলেন, বিএসএমএমইউর কার্ডিয়াক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) শাহবাগ রাস্তার কাছাকাছি। ফলে উচ্চশব্দে সেখানে রোগীদের ঘুম হয় না। এতে রোগী সুস্থ হতে সময় লাগে।
একে//এসএইচ