ঝাঁঝ কমছে না পেয়াজের
প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোত গত প্রায় তিনমাস ধরে ‘স্মরণকালের’ সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ। ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক এবং ভরা মৌসুমে সরবরাহ বেড়েছে। তারপরও কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ। দাম থেকে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বরাবরের মতো ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতাদের দিকে। আর বিক্রেতাদের নিরুপায় হওয়ার অহেতুক যুক্তি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। অন্যদিকে আমদানি নির্ভর পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ ভরা মৌসুমে এমন বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রহমান অভিযোগ করে বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমার সময় আসলে আগেই দাম কৃত্তিম সংকট তৈরি করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যা কমানো হয় না। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তাই ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজের দাম আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ হলে এটার দাম এমনিই কমে আসবে।
একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা সবুজ বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেনি এ কথা ঠিক না। আগে পেঁয়াজ ১০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। এখন তা কমে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকা ও ভরা মৌসুম হওয়ায় এমন কমে এসেছে। তবে নাগালের মধ্যে আসে নাই এটা ঠিক। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। যেমন কিনি তেমন বিক্রি করি।
এদিকে শীতে বাজার জুড়ে থাকে নানা রকম টাটকা শাক-সবজি। পাশাপাশি দামও থাকে সাধারণ মানুষের নাগালে। ভরা মৌসুমে কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই লাফিয়ে বাড়ে দাম। কিছুটা কমলেও এখনো অস্বস্তিতে ক্রেতারা। প্রতিকেজি মৌসুমি সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরকে/টিকে