ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

সিরিজ জয়ের খরা ঘুচবে তো?

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১১:৪৬ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

বাংলাদেশ বিশ্বক্রিকেটের সব কটি দলকে ইতোমধ্যে হারিয়েছে। টাইগারদের গত ৪-৫ বছরের পারফরমেন্স জ্বলমলে। এই সময়ে মাশরাফির নেতৃত্বে ওয়ানডেতে বহু কিছু অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে একটি আক্ষেপ রয়ে গেছে। সেটি হচ্ছে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে আজও সিরিজ জেতা হয় নি বাংলাদেশের।
এই অপ্রাপ্তি আজও তাড়া করে বেড়াচ্ছে মাশরাফিদের। এর আগে দুই দুটি সিরিজের ফাইনাল জেতার খুব কাছাকাছি গিয়েও থমকে দাঁড়ায় টাইগাররা। তাই আজকের ম্যাচটি জিতেই সেই বন্ধ্রাত্ব ঘুচাতে মরিয়া মাশরাফি-সাকিক-তামিম-মাহমুদুল্লাহর মতো ফেনোমেননরা।
ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মিলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও এশিয়া কাপে এর আগেও তিন তিনবার ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। কিন্তু একবারও শেষ হাসি হাসা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয়েই তুষ্ট থাকতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হতাশা আর না পারার বেদনাই সঙ্গী হয়ে থেকেছে। দেখা যাক ঘরের মাঠে প্রথম ট্রফি বিজয়ের আক্ষেপটা আজ ঘোচে কি না?
সেই ২০০৯ সালে তিন জাতি আসর এবং ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল তাই টাইগারদের ‘দুঃখ’ হয়েই আছে। দল সাফল্যের নাগাল না পেলেও পারফরমার সাকিব আল হাসান ওই দুইবারই সাফল্যের চুরায় ছিলেন। ঐ দুই টুর্নামেন্টের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট সাকিব।
২০০৯ সালের তিন জাতি টুর্নামেন্ট এবারের মত ডাবল লেগের ছিল না। একবার করে খেলার পরই ফাইনাল। এখন দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে না জিতলে ফাইনাল খেলা কঠিন ছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি প্রথমদিন জিম্বাবুয়ের কাছে ৩৮ রানে হেরে যাওয়ায় হিসেব কঠিন হয়ে ওঠে টাইগারদের। ফাইনাল খেলতে শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতাই নয়, বোনাস পয়েন্টসহ জয় অত্যাবশ্যক হয়ে ওঠে।
আলোর স্বল্পতায় দেরিতে শুরু হওয়া ৩১ ওভারের ম্যাচে সাকিবের চওড়া ব্যাটেই কাঙ্খিত সাফল্যের বন্দরে ভিড়ে বাংলাদেশের নৌকা। শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হাতে রেখে ৪৩ বল আগেই ওই রান টপকে যায়। সাকিব প্রায় অসাধ্য সাধন করেন। তার ব্যাট থেকে বেড়িয়ে আসে ৬৯ বলে ৯২ রানের হার না মানা ইনিংস (১০ বাউন্ডারি আর দুই ছক্কাসহ)। আর তাতেই বোনাস পয়েন্ট নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশের ফাইনালের টিকিট হয় কনফার্ম।
২০১২ সালের এশিয়া কাপেও দেখা যায় একই চিত্র। সেবার টিম পারফরমেন্সে বাংলাদেশ প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও সে মিশনে সাকিবই ছিলেন সাহসী ও দক্ষ নাবিক। তার অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সই মূলত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে ফাইনাল পর্যন্ত পৌছে যায় মুশফিকের দল। ম্যান অফ দ্যা এশিয়া কাপ হন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সিরিজ জয় হয়নি।
আজকের ম্যাচে অতীতের সব শোধ কড়ায় গণ্ডায় মেটাতে মরিয়া মাশরাফি বাহিনী। পারবে তো বাংলাদেশ? নিযুত ক্রিকেট ভক্তের আশা পূরণ হবে তো?
/ এআর