ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যৌন হয়রানির অভিযোগে রিপাবলিকান নেতা স্টিভের পদত্যাগ

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার

যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির (আরএনসি) ফাইন্যান্স চেয়ারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্যাসিনো মুগল স্টিভ ওয়েন। আরএনিসির চেয়ানপার্সন রোনা ম্যকড্যানিয়েল মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বলেছেন, তিনি ওয়েনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। 

শনিবার আরএনিসির চেয়ানপার্সন রোনা ম্যকড্যানিয়েল এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, আজ আমি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির ফাইন্যান্স চেয়ারের পদ থেকে স্টিভ ওয়েনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।
শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ৭৬ বছর বয়সী এই ধনকুবের এক মেসেজ থেরাপিস্টকে হয়রানির পাশাপাশি অধীনস্থ এক কর্মীকে যৌন মিলনে বাধ্য করেছিলেন।


ওয়েন প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তিনি গল্পগুলোকে ‘ভ্রান্ত’ বলে দাবি করেছেন। তিনি এসব ‘অপবাদে’র জন্য তার সাবেক স্ত্রীকে দোষারোপ করেন। শুক্রবার তার জনসংযোগ দল বিবিসি’র কাছে এক বিবৃতি পাঠায় । বিবৃতিতে ওয়েন অভিযোগ করেন, ‘আমি আমার সাবেক স্ত্রী ইলাইন ওয়েনের সঙ্গে একটি ভয়ঙ্কর ও নোংরা মামলা চালাচ্ছি। এসব অভিযোগের উস্কানি তারই চলমান কাজ।’

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ওয়েনের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, ওয়েন তার ব্যক্তিগত অফিসে মেসেজ থেরাপিস্টদের একা পেলেই হয়রানি করতেন। আদালতের নথির উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধনকুবের বিরুদ্ধে এক নারী জোরপূর্বক যৌন মিলনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ওই নারীকে ৭৫ লাখ ডলার দিয়েছিলেন।

এ ছাড়া নারী কর্মীরা তার সাক্ষাৎ এড়াতে পালিয়ে বেড়াতেন বা তার সঙ্গে দেখা করার সময় অন্য কাউকে নিয়ে যেতেন। এমনকি তার আসার খবর শুনে অনেক মেসেজ থেরাপিস্ট বাথরুমে লুকিয়ে পড়তেন বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
স্টিভ ওয়েন রিপাবলিকান দলের এক দাতা ও তহবিল সংগ্রাহক। এর আগে গত বছর ডেমোক্র্যাট দলের দাতা ও হলিউডের নির্বাহী প্রযোজক হার্ভেই উয়েনেস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সে সময় তার দেওয়া অর্থ ফেরত দিতে ডেমোক্র্যাটদের আহ্বান জানিয়েছিল রিপাবলিকানরা। এখন কয়েকজন ডেমোক্র্যাট ওয়েনের বেলায়ও একই নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটি (ডিএনসি) এ ঘটনায় আরএনসি’র নিষ্ক্রীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/