ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে কোটি টাকা আত্মসাৎ

রিজাউল করিম

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:২৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে ভুয়া বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। সংঘবদ্ধ চক্রটি ভুল ঠিকানা দিয়ে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে অদৃর্শভাবে বিপুল অঙ্কের এ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপজেলা পরিদর্শক ও কর্মসূচি সংগঠকসহ পাঁচটি পদের বিপরীতে মোট ৮৮৪ জন নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে আগ্রহী প্রার্থীদের তিন কপি ছবি ও মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত আবেদনপত্র বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের ১২ দিনের মধ্যে মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক বরাবর পাঠাতে বলা হয়। প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেওয়া হয় (বাড়ি নং-৪৯, রোড নং-১০/এ, নিকুঞ্জ-১, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯)। এ ঠিকানায় আবেদন করা হলে আবেদনে উল্লেখিত নম্বর অনুযায়ী চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে ফোন করে ১২০০ টাকা চাওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন কথার মারপ্যাচে প্রার্থীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

অভিযোগের সূত্র ধরে গত বুধবার সরেজমিন অনুসন্ধানে যায় একুশে টেলিভিশন অনলাইনের এই প্রতিবেদক। বিজ্ঞাপনে দেওয়া নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে পুরো এলাকা ঘুরে ৪৯ নম্বর বাড়ির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথমে চাকরি প্রত্যাশীর ছদ্মবেশে যাওয়ার কারণে স্থানীয়রা কিছু উপদেশমূলক কথা শোনান। স্থানীয়রা বলেন, না জেনে, না বুঝে এমন বাটপারদের কাছে কেন আপনারা আবেদন করেন? চাকরি না হলে হালচাষ করে খাওয়াও এর চেয়ে অনেক ভালো।

এক চায়ের দোকানদার, মুদি দোকানদার ও বাড়ীর কেয়ারটেকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিকুঞ্জ-১, ১০/এ ঠিকানায় মোট ৮টি প্লট আছে। যার মধ্যে ১, ২ ও ৩ নম্বর প্লটে বড় বিল্ডিং করা হয়েছে। আর বাকি ৪ থেকে ৮ নম্বর প্লটে টিনশেডের বাড়ি। এর আশেপাশে কোথাও ৪৯ নম্বর বাড়ি নেই।

নিজেকে একজন চাকরিপ্রার্থী পরিচয় দিয়ে ওই এলাকার মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ দোকানদার এস এম রাজন আহমেদের কাছে ওই ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি কী ৪৯ নম্বর বাড়ি খুঁজচ্ছেন? চাকরির আবেদন করেছেন? হ্যাঁ সূচক উত্তর দিতেই রাজিব আহমেদ বলেন, আপনারা খোঁজ-খবর না নিয়ে কেন ভুয়া ঠিকানায় আবেদন করেন, আবার টাকা পয়সাও পাঠিয়ে দেন তা আমার বুঝে আসে না। আমর কাছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আগের দিন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিনশ’ আবেদনকারী এসেছে। আজ আপনি আসার আগে এ পর্যন্ত সাত জন এসেছে। রাজধানীর আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা আসছে। ঠিকানা ভুয়া দেখে অনেক কাঁদছেন। অনেকে গালিগালাজ করে চলে যাচ্ছেন। আমি এখানে গত ৫ বছর ধরে দোকানদারি করি। এ নামে বা ঠিকানায় কোন প্রতিষ্ঠান কোনো দিন দেখিনি।

এ বিষয়ে কথা হয় নিকুঞ্জ-১, ১০/এ ঠিকানার ৩ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হকের (আলম নামেও পরিচিত) সাথে। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের খুঁজে গত দুই সপ্তাহে এখানে অনেক লোক এসেছে। এখনও আসছে। এ এলাকায় এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার মনে হয় না। প্রতিদিনই আপনার মতো এমন অনেকে আসছে ওই ভুয়া ঠিকানা ধরে। ওই প্রতিষ্ঠান না পেয়ে সবাই আবার চলে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় অনেকে থানায় অভিযোগ করবে বলেও জানিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় মুদির দোকানি মো. রাজিব মিয়া বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। গত ৩০ বছর ধরে আমি নিকুঞ্জতে বসবাস করছি। আজ পর্যন্ত এ নামে বা ঠিকানায় কোনো বাড়ি চোখে পড়েনি। এ ঠিকানায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০ জন করে আসছে। আজও এ পর্যন্ত তিনজন এসেছে। ওই ঠিকানা না পেয়ে সবাই মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। আমি তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। আর বলে পারছি না। এলাকায় নতুন কাউকে দেখলেই বুঝতে পারছি যে তিনি চাকরির আবেদনকারী।

এদিকে বৃহস্পতিবারও সেখানে গিযেছিলেন চাঁদপুরের রফিকুল ইসলাম (তিনি রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় থাকেন), কিশোরগঞ্জের আব্দুল আজিজসহ (ফকিরাপুল থাকেন) বেশ কয়েকজন। রফিকুল ইসলাম একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, আমি বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঠিকানা বরাবরে আবেদন করলে একটি মেয়ে আমাকে জানায়, আপনি চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ট্রেনিংয়ের জন্য (বিকাশ ০১৮৫৮৯২৩৮৪০) নম্বরে ১২৫০ টাকা পাঠাতে বলে। আমি টাকা পাঠানোর পর আমাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের লোগো ছিল। কয়েকটি ঔষধের নামও লেখা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে-ই চাকরিতে নিশ্চয়তা ও ট্রেনিংয়ের কথা শুনে আমার একটু সন্দেহ হয়। সন্দেহের ভিতরেই বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলাম। টাকা পাঠানোর পর সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। যেহেতু ঢাকায় থাকি তাই সর্বশেষ নিজ চোখে প্রতিষ্ঠানটি দেখার জন্য যাই। কিন্তু এখন দেখছি আমার টাকাগুলো একেবারেই ভুয়া পাত্রে গেছে। আফসোস হচ্ছে একজন শিক্ষিত নাগরিক হয়ে ও ঢাকায় থেকে এমন বোকামি করলাম কী করে?

একই ধোকায় ভুক্তভোগী আবেদনকারী নাটরের লালপুর কলেজের ছাত্র জয় আহমেদ। ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক শেষ করা জয় কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ভাই দেশের শীর্ষ লেভেলের এমন পত্রিকায় এমন ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হবে আগে ভাবতে পারি নাই। অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলে আমি। এতোগুলো টাকা ওরা নিয়ে নিল? ভাই, আমার সত্যিই কান্না পাচ্ছে। অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম। ভেবেছিলাম ছোটখাট হলেও একটি চাকরি করি, জীবন বাঁচাই। কিন্তু ওরা আমার জীবনটাই যেন থামিয়ে দিল। তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে মামলা বা অভিযোগ করবো তারও উপয় নেই। আমি ছাত্র, তার ওপর অর্থের অভাব, পরে আবার অন্য ঝামেলায় পড়ে যাব। এসব ভয়ে আর অভিযোগ করতে পারলাম না। দয়া করে একটু এর বিরুদ্ধে লিখেন।

এদিকে পত্রিকায় ভুয়া এ বিজ্ঞপ্তির অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার বরিশাল সদরের মার্জানা আক্তার তিনা একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করি। আবেদনের পর আমাকে ০১৮৫৮৯২৩৮৪০ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য ১২০০ টাকা চাওয়া হয়। নারী কণ্ঠের ওই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে বলছি বলে জানান তিনা। এরপর আমি বলি আমার স্বামী নেই, এতো টাকা কোথা থেকে দিব? উত্তরে আমাকে ৫০ শতাংশ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। বাকি টাকা নিয়োগের পর দিতে হবে বলে জানায়।

তিনা আরো বলেন, আমাকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রেনিং দেওয়া হবে বলেও জানায়। আমি জানতে চাইলাম, আমাদের বরিশালে প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা আছে কী না। তিনি উত্তরে আমাকে বলেন যে, দেশের কোথাও আমাদের এখনও কোনো শাখা নেই। তবে পরে শাখা খোলা হবে।

তিনা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের বরিশালে এক র‌্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে কথাও বলেছি। তখন র‌্যাব কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, আপনি আগে যারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাদের অবহিত করেন। আমরা অ্যাকশানে যাব।

একইভাবে কথিত ওই প্রতিষ্ঠানে কামাল হোসাইন নামের আবেদনকারী অভিযোগ করে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, আবেদন করার পর ওই অফিস থেকে কল করে ১২৫০ টাকা বিকাশ করতে অথবা অফিসে গিয়ে জমা দিতে বলে। এ আবার কেমন চাকরি? পরীক্ষা নেই, সাক্ষাৎকার নেই আগেই চাকরির ট্রেনিংয়ের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে। সারা দেশ থেকে তো তারা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে। কেউ কী দেখার নেই?

তবে একাধিক আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে বাড়ির অস্তিত্ব না পাওয়া সত্বেও প্রতারক চক্রটি কীভাবে আবেদনগুলো সংগ্রহ করছে-এ প্র্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেন একুশে টেলিভিশন প্রতিবেদক। বিষয়টি স্পষ্ট হতে নিকুঞ্জ এলাকায় দায়িত্বরত র‌্যাব ক্যাম্প (সিপিসি)-এ যোগাযোগ করা হলে এডিশনাল এসপি হানিফ বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আসলে অবশ্যই তদন্তে নামবো। তবে আপনি পার্শবর্তী থানায় যোগাযোগ করতে পারেন।

খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল হক একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে এ বিজ্ঞপ্তির ঠিকানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে দেওয়া এক ভুয়া বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সে বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঠিকানায় কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী জয় আহমেদ ও মার্জানা আক্তার তিনার মাধ্যমে কীভাবে প্রতারক চক্র আবেদনপত্র সংগ্রহ করছে তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতারক চক্র কোনো সময় নম্বর বন্ধ রাখছে, কোনো সময় তা খোলা রাখছে। মাঝে মধ্যে মোবাইলে রিং বাজলেও রিসিভ হচ্ছে না। ফলে আবেদনকারীদের মাধ্যমেও প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকা বিশেষ করে টঙ্গী, গাজীপুর, মতিঝিল, মহাখালী ও খিলক্ষেতে কাজ করছে এমন প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রটি প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি নাম দিয়ে অভিনব কৌশলে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। সম্প্রতি রাজধানীতে থাকা এ ধরনের একটি চক্রের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা হয়। এদের মধ্যে প্রতারক দম্পত্তিও ছিল। ওই চক্রের দুই নারীসহ পাঁচ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সূত্র জানায়, চাকরির প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেক সময় একেক এনজিওর নাম ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর গুটিয়ে নেয় অফিস। এমনই ভাবে গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ২০৯০টি পদে নিয়োগের জন্য ‘বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন বাস্তবায়নে শিশু বিকাশ কেন্দ্রর নামে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে ধরা পড়ে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য।

দ্বীপক কুমার দেব নামে এক চাকরি প্রার্থীর মামলা এবং ২০ থেকে ২৫ জন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্র্রেক্ষিতে রাজধানীর মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল তাদের মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মঞ্জুরুল আহসান খান। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলো- মাহবুবুর রহমান, সুজিত কুমার ঘোষ, রোকসানা আক্তার, রবিন ও মায়া রানী রায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-কমিশনার মাসুদ রহমান একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, চাকরি প্রত্যাশীদের উচিত চাকরির আবেদন করার আগে জেনে বুঝে যাচাই-বাছাই করে আবেদন করা। আর গণমাধ্যমেরও উচিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে যাচাই করা। এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাপানো থেকে বিরত থাকায় গণমাধ্যমের নৈতিকতার ভিতরে পড়ে। তিনি জানান, মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই অ্যাকশনে যাব।

 

আরকে/টিকে