ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় কালকাসুন্দার

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:১৫ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কালকাসুন্দার অনেক ওষুধী গুণাবলি রয়েছে। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে এর গুণাবলি তুলে ধরেছেন। একুশে টেলিভিশন অনলাইনে দেওয়া হলো-

১) কালকাসুন্দের ফুলচূর্ণ এক গ্রাম করে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে পানিসহ খেলে অম্বলজনিত গলা ও বুক জ্বালা রোগ সেরে যায়।

২) মুখে অরুচি হলে এর পাতা অল্প পানিতে সেদ্ধ করে আট-দশ গ্রাম ভাতের সঙ্গে মেখে খেলে অরুচি সেরে যায়।

৩) স্বরভঙ্গ রোগে এই উদ্ভিদের পাতা ও ফুল দশ গ্রাম পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে রোজ সকালে ও বিকেলে দুবার করে খেলে স্বরভঙ্গ দূর হয়।

৪) পাতলা দাস্ত হলে কালকাসুন্দের পাতার রস এক চামচ গরম করে খাওয়ালে রোগটা সেরে যায়।

৫) হঠাৎ কেউ মুর্ছিত বা অজ্ঞান হয়ে পড়লে এই উদ্ভিদের পাতার রস এক চামচ খাইয়ে দিতে হয় এবং সেই সঙ্গে দু-ফোঁটা রস নাকে ঢেলে দিলে মুর্ছা ভঙ্গ হয়।

৬) কালকাসুন্দের পাতার রস গাঁঢ় চিনির রসে মিশিয়ে লজেন্সের মতো ঢেলো তৈরি করে রোজ সকালে ও বিকেলে চুষে খেলে হুপিং কাশি সেরে যায়।

৭) কালকাসুন্দের শিকড়ের ছালের টিঞ্চার হাঁপানি রোগের কার্যকরী ওষুধ।

৮) কোনও কারণে কারও শরীরে যদি লাল লাল চাকা দাগ দেখা যায় ও জায়গাগুলি ফুলে ওঠে তাহলে এর রস গায়ে মাখলে তা সেরে যাবে।

৯) কামরাঙ্গার বীজ স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধিকারক। কিন্তু অতিমাত্রায় ঋতু সংশোধক ও গর্ভপাতকারক।

পরিচিতি : কালকাসুন্দে ঘনসন্নিবদ্ধ গুল্ম। এটি কয়েক মিটার উঁচু হয়। উদ্ভিদগুলি প্রায়ই বর্ষজীবী্ এর পাতা দুই থেকে চার সে.মি. লম্বা হয়। পাতা চটকালে গন্ধ বেরোয়। ফুরের রং লালচে হলুদ। কালকাসুন্দের একটি লম্বা বোঁটায় দুই থেকে ছয় জোড়া পাতা থাকে। এর শুটিগুলো চ্যাপ্টা। প্রতিটি শুটিতে ২০-২৫টি বরে বীজ থাকে। বীজ পাকে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে। পাকা বীজগুলি মাটিতে পড়ে।

/কেএনইউ/এসএইচ