ঢাবিতে ধর্মঘট
কলা ভবনের ফটকে তালা
প্রকাশিত : ১০:৪৬ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঘেরাওয়ের সময় হামলার প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের শুরুতেই সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। জোটের নেতাকর্মীরা সেখানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন।
তবে কলাভবনের সামনে তাদের অবস্থানের মধ্যেই ভবনের অন্যান্য ফটক দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে দেখা গেছে।
ভিসি কার্যালয়ে বিক্ষোভে দুই দফা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়ার চার দফা দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো এই আন্দোলন করছে।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনের দাবি, সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধর্মঘটের পক্ষের নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল ৭টার দিকে কলাভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে যান এবং মূল ফটকে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন।
সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবার কলাভবনের সামনে ফেরেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
তারা চলে যাওয়ার পর সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের কর্মচারীরা ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভা মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকীও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করলে ছাত্রলীগ গিয়ে পিটিয়ে তাদের তুলে দেয়।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, সেদিন অছাত্রদের হাত থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল তারা। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বলেছে, সেদিন উপাচার্যের উপর আক্রমণ হয়েছিল।
/ এআর