ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বেনাপোলে ৫দিন ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:৫১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত একটানা ৫দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

ফলে দু‘দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোডসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম সচলসহ দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ভারতের পেট্রাপোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বিষয়টি সুরাহার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রপোল কাস্টমসের নতুন একজন কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট যোগদান করার পর থেকে নানা হয়রানি শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তিনি নিজেকে উপরিমহলের হাত রয়েছে এই অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক হয়রানি করছে আমাদের উপর।

সর্বশেষ বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রফতানি করার জন্য পূর্বে সিএন্ডএফ এজেন্টের কর্মচারিরা কাষ্টমস অফিসারে মাধ্যমে মেনিফেষ্ট তৈরি করার পর কারপাস (গেট পাস) ইস্যু করে পণ্য রফতানি করতো।

হঠাৎ করে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারি করেন যে, তারা নিজেরাই কারপাস ইস্যু করে রফতানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করাবেন। এ ধরনের নির্দেশনায় পণ্য রফতানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রফতানি পণ্যের কোন কাগজপত্র না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ কোন কারপাস ইস্যু করতে পারেনি। যার কারণে কারনে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন মহলের সাথে যোগাযোগ চলছে। রোববার সরকারি ছুটি থাকায় কোন আলোচনা হয়নি। সোমবার দুপুরের পর সৃষ্ট বিষয়ের ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে আমদানি-রফতানির।

এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাষ্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কারপাস জটিলতাসহ অন্যান্য কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটানা ৫দিন আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোন পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারকের পণ্য চালান পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে। সেই সঙ্গে রফতানির জন্য আসা শত শত ট্রাক সীমান্তে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্যচালানের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের অনেক কাঁচামাল রয়েছে। অনেকের শীপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক আছে।