ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে কামরাঙা

প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কামরাঙায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। কামরাঙা ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি এর রস ত্বকেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কামরাঙার ওষুধী গুণাবলিও রয়েছে। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে ওষুধী গুণাবলিগুলো তুলে ধরেছেন। একুশে টিভি অনলাইনে তা দেওয়া হলো-

১) এটি শীতবীর্য, মল সংগ্রাহক, অম্লরস। এটি কফবিকার ও বায়ুবিকার দূর করে।

২) অম্লরস পাচনক্রিয়ার সাহায্য করে, কারণ অম্লরস লালস্রাব ঘটায়, রুচি আনে, অগ্নিবল বাড়ায়। প্রমিত মাত্রায় রক্তবহ সংস্থানে এটি হৃদ্য, অধিক সেবনে রক্তপিত্ত রোগের সৃষ্টি হয়। এর আরও একটি দোষ শুক্রের বল হ্রাস করে এমনকি শুক্রাণু ধ্বংসও করে। তবে মুতবহ স্রোত পরিষ্কার রাখে এজন্য রসবহ স্রোতের বল বাড়ায়। তবে মধুরাম্ল কামরাঙাই উৎকৃষ্ট।

৩) কোন অতিসারে রোগী অত্যাধিক পাতলা পায়খানা করতে করতে যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন কালবিলম্ব না করে বারেবারে মিষ্টি পাকা কামরাঙার রস এক চামচ করে কয়েকবার খাওয়ালে পায়খানা বন্ধ হবে। এছাড়া প্রস্রাব পরিষ্কার হবে।

৪) যে সময় মূত্রাশয়ে বায়ুবিকার হয়ে মূত্রাস্লতা হবে, পেট ফাঁপাবে, মলে তরলতা দেখা দেবে সে সময় মিষ্টি পাকা কামরাঙার রস এবং দ্বিগুণ পরিমাণ ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে একটু চিনি দিয়ে দুই-তিন চামচ করে খাওয়ালে বায়ুবিকারজনিত ওই অসুবিধাগুলা দূর হয়ে যাবে।

৫) অর্শ রোগে রৌদ্রে শুকানো কামরাঙার কচি পানির সঙ্গে বেটে পরিমান মতো একবার খেতে হয়। কামরাঙার রসটা যাতে না পড়ে এ অবস্থায় শুকিয়ে গুঁড়ো করে বড়ি বানিয়ে রাখতে পারলে সেই বড়ি পানি দিয়ে খাওয়ানো যায়। বেশ কিছুদিন খাওয়ালে ওই অর্শটা থাকবে না।

৬) পুরাতন জ্বরে কামরাঙার পাতা মিহিচূর্ণ গুই গ্রাম মাত্রায় তিন-চার দিন সকালে ও বিকেলে পানিসহ খেলে পুরাতন জ্বরটা সেরে যাবে। এমনকি অগ্নিবলও বৃদ্ধি পাবে।

৭) যকৃৎ শুলে পাকা কামরাঙার বীজ স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধি সহায়ক। কিন্তু অধিকমাত্রায় তা আবার ঋতু সংশোধক এবং গর্ভপাতকারক।

৮) পাতার ক্বাথ মুখের সাদা ক্ষত, এঞ্জাইনা এবং বমন বন্ধে উপকারী।

পরিচিতি : কামরাঙা একটি চিরসবুজ মাঝারী ধরনের গাছ। আট থেকে দশ মিটার লম্বা হয়। পাতা যৌগিক লম্বায় দুই থেকে পাঁচ সে.মি হয়। কাণ্ড মসৃণ ও কালো বর্ণের হয়। ফল আট থেকে ছয় ভাঁজ যুক্ত এবং পাকলে হলুদ হয়। কামরাঙা দুই প্রকার হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে টক ও অন্যটি হচ্ছে মিষ্টি। এর ফুলের রং হালকা গোলাপী ও সাদা।

/কেএনইউ/এসএইচ