ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

না থেকেও আছেন সাকিব

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

আঙুলে চোটের কারণে আজকের টেস্টে মাঠে নেই সাকিব। আগামী ম্যাচও না খেলারই আশঙ্কা রয়েছে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের মনটা স্বভাবতই খারাপ।
আজকের ম্যাচে দ্বিতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্বে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল সাকিবের। মাঠে না থাকলেও তার মনটা পড়ে আছে মাঠেই। তাই তো টেস্ট দেখতে সকালেই চলে এলেন চট্টগ্রামে। সতীর্থদের খেলা দেখছেন প্যাভিলিয়নে বসে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে চোট পান সাকিব। মাঠ থেকেই চলে যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। এক্স-রেতে দেখা যায়, হাড় না ভাঙলে মচকে গেছে আঙুলের গোড়ার দিক। বেশ খানিকটা অংশ কেটেও যায় হাতের। সেলাই পড়ে দুই স্তরের। ফলে ফাইনালে ব্যাট করতে পারেন নি।
দ্বিতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব শুরুর আগেই এমন একটি বাগড়া! প্রতিপক্ষ হাথুরুসিংহের শ্রীলংকা বলেই আক্ষেপটা একটু বেশি হওয়ার কথা। দলের মহাপ্রয়োজনের মুহূর্তে হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে প্যাভিলিয়নে মন খারাপ করে বসে থাকতে হচ্ছে। এটা হয়তো-বা সাকিবের ভাবনা।
তবে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের তো বটেই, শ্রীলংকার আলোচনাতেও ছিলেন সাকিব। এর মধ্যে সাবেক গুরু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পরিস্কার বলে দিয়েছেন, সাকিব না থাকায় একটু হলেও পিছিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বিশেষ করে টেস্টে তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়। ব্যাটিং-বোলিং যে কোনো একটি দিয়েই তিনি দলে জায়গা করে নিতে পারেন। এমন একজনের অভাব তো পূরণ হওয়ার নয়। তিনি আহত থাকায় শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অধিনায়কত্ব করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
সাকিবকে যে টিম কতটা মিস করছে তার প্রমাণ মেলে রিয়াদের কণ্ঠেই। মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমে স্পষ্ট বলেছেন, তার অধিনায়কত্ব করার স্বপ্ন পূরণের চেয়েও সাকিবের থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সাকিব আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। তাকে হারানোটা আমাদের দলের জন্য বড় একটা বিপর্যয়ই বলতে হবে।

সাকিবের অভাব সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যাবে বোলিংয়ে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের স্পিনিং উইকেটে সাকিবের বোলিং হতে পারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। যেমনটা হয়েছিল এ মাঠে হওয়া সর্বশেষ দুই টেস্টে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কীভাবে বোলিংয়ে সাকিবের অভাব পূরণ করা যায়, তা নিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে রাখা হয়েছে চারজন স্পিনার। তারা হলেন-তাইজুল, মিরাজ, সানজামুল ও মোসাদ্দেক।
ব্যাটিংয়ে তো সাকিবের অভাব পূরণ করা কঠিন হবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। ওই সিরিজে দুই ফিফটির কারণেই ওয়ানডেতে শীর্ষে উঠেছেন তিনি।

/ এআর /