ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বেতনের দাবিতে বিজিএমইএ ভবনে ভাঙচুর

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৮:০৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবনে শ্রমিক ও বিজিএমই কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে কারওয়ান বাজারের ওই ভবন ঘেরাও করতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে বিজিএমই কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সময় পরস্পরের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ভবনে ভাঙচুর চালায়। 

আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শ্রমিক ও বিজিএমইএ কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক শ্রমিকসহ অন্তত তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুরুতে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকে শ্রমিকরা। তবে এক পর্যায়ে তারা বিজিএমইএ ভবনের ভেতরে ঢুকে ভবনের কাচসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করতে থাকেন। ওই সময় ভবনের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ফলে ভবনের বাইরে থাকা শ্রমিকরা ভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে ভবনের বেশ কয়েকটি কাচ ভেঙ্গে যায়। ওই সময় বিজিএমইএর কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করেন। এতে এক শ্রমিক ও দুই কর্মী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, শ্রমিক ও বিজিএমইএ কর্মী সূত্রে জানা যায়, ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত আশিয়ানা নামের এক পোশাক কারখানায় ২০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে বিজিএমইএ ভবনের সামনে জড় হন। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ব্যানারে সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে একজন শ্রমিক জানান, তাঁদের সভা হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়ে গেছে। ওই সময় শ্রমিকেরা পরস্পরকে ডাকাডাকি করে ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন ভবনের ভেতর থেকে ছয়-সাতজন কর্মী বেরিয়ে এসে তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

একপর্যায়ে শ্রমিকেরা পুরো দল নিয়ে ভবনের ভেতর প্রবেশ করে দরজার কাচ, ফুলের টব ভেঙে ফেলেন। হামলায় লিফট, নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য রাখা আর্চওয়ে ও স্ক্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের একপর্যায়ে শ্রমিক নেতারা সবাইকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শ্রমিকদের একটি দল বিজিএমইএ ভবনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকদের জড়ো হতে দেখেছি। সেই সময় তাঁরা স্লোগান দিলেও পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিজিএমইএ ভবনে হামলার খবর পাই। তবে বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

এমজে/