ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সন্ত্রাসের তালিকায় ইসমাইল হানিয়াও

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্র আবারও রাশিয়াসহ বিশ্বের কতিপয় ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের কাছে থাকা তথাকথিত সন্ত্রাসীদের তালিকার দৈর্ঘ্য আরও লম্বা হয়েছে। এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তাকে সন্ত্রাসীদের গুরু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালাচ্ছেন। এতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র তাকে কালো তালিকাভূক্ত করে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী প্রতিরোধ আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস-এর শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া জেরুজালেম ইস্যুতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদিকে ইসমাইল হানিয়াকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ হুশিয়ারি করে দিয়েছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মধ্যপ্রাচ্যের মাঠিকে যুক্তরাষ্ট্রের কবল থেকে রক্ষা করার ঘোষণা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরায়েলের পতাকা জ্বালিয়ে প্রতিরোধ শুরু করে হামাস সমর্থকরা। বুধবার সংগঠনটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে হানিয়ার সংশ্লিষ্টতা, সশস্ত্র কার্যক্রমের ইন্ধন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইসরায়েলের ওপর ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত হানিয়া। এছাড়া সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৭ মার্কিন নাগরিক হত্যায় হামাস দায়ী, যার পুরো মদদ দিয়েছেন হানিয়া।

হামাসকে নিয়ে অবশ্য ইসরায়েল-আমেরিকার বাইরে সৌদি জোটেরও অস্বস্তি রয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইতঃপূর্বে হামাসকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কাতারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হানিয়ার পাশাপাশি মিশরের সশস্ত্র আন্দোলন গোষ্ঠী হারাকাত আল-সাবিরিন, লিওয়া আল-থাওরা, হারাকাত সাওয়ার মিশর- এ তিন সংগঠনকেও সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/