ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

৫১৩ রানে থামল টাইগাররা

প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৪৯ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম টেস্টে ৫১৩ রানে থামল টাইগারদের ইনিংস। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে এটি রানের পাহাড় না হলেও অন্তত চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলা চলে। দ্বিতীয় দিনে ১৩৯ রান যোগ হয় বাংলাদেশ ইনিংসে। ৬ উইকেট মিলে করেছেন এই রান।
দ্বিতীয় দিনে দ্রুত উইকেট পড়তে থাকায় পাঁচশ রানের মাইলফক ছোঁয়া বাংলাদেশের জন্য অসম্ভবই মনে করা হচ্ছিল একটা সময়। সেই অসম্ভব সময় হয়েছে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর দৃঢ়তায়। তিনি একপাশ থেকে মাটি কামড়ে টিকে থেকে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। অন্য কোনো ব্যাটসম্যান সঙ্গ দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
বুধবার প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে করে ৩৭৪ রান।দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মমিনুল ১৭৬ রান করে আউট হন। ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৭৬ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। মুমিনুলের পর মোসাদ্দেক হোসেন নেমেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৭তম ওভারে সেই হেরাথের বলেই মিডঅনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক (৮)। মেহেদী হাসান মিরাজ (২০) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল পাঠিয়ে ৩ রান নিতে গিয়ে রানআউট হন।
সেই জায়গা থেকে দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যেতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সানজামুল। একটি জুটিও গড়ে তোলেছিলেন তারা।
কিন্তু বিরতির পরই তিন রানের ব্যবধানে দ্রুত দুই উইকেট পরে যায়। মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়া সানজামুল ক্যাচ আউট হয়ে বিদায় নেন দলীয় ৪৭৫ রানে। তার উইলো থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান। এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গ দিতে নামেন তাইজুল। তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৪৭৮ রানে হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তাইজুলও। তখন বাংলাদেশের স্কোর ৪৭৮/৯।
এরপর ৫শ’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা বাংলাদেশের জন্য অনেকটা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তবে একপাশ থেকে লড়ে যান ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ। তাকে সঙ্গ দেন বোলার মুস্তাফিজ। কিন্তু মুস্তাফিজ ব্যাক্তিগত ৮ রানে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশে স্কোর থেমে যায় ৫১৩ রানে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় শ্রীলংকা ১ম ইনিংসে ব্যাট করতে মাঠে নেমেছে। দুই ওভারে কোনো রান করতে পারেননি শ্রীলংকান বোলাররা।

সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

/ এআর /