1. প্রচ্ছদ
2. রাজনীতি

হাইকোর্টের সামনের সড়ক থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা করে নেতাকর্মীদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতারাই মাস্টারমাইন্ড বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সেদিন হাইকোর্টের সামনে যে ধরনের হামলা হয়েছে, তাতে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার না করে কী করব? সরকার কি বসে থাকবে? কারা কারা ওখানে ছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেফতার হয়নি। এ হামলায় পুলিশকে দোষ দিতে পারবে না। কারণ হামলার উসকানি তারাই দিয়েছে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত, তারাই ঘটনা সাজিয়েছে ও ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ওয়েস্টার্ন ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় রংপুর জোনের ১৯টি ও রাজশাহী জোনের ১৬টি ব্রিজের নির্মাণ কাজের চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীরা অনুপ্রবেশকারী। তার এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফুটেজ আছে। এ হামলার ফুটেজ মুছে যায়নি। এ হামলা কীভাবে হয়েছে, তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এটা অনুপ্রবেশ নয়, এটা পূর্বপরিকল্পিত জঙ্গি স্টাইলে হামলা। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপির নেতারা। তারাই এ হামলা করিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কি এ ধরনের ঘটনা বিনাবিচারে ছেড়ে দিয়ে মানুষের জানমাল ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবো? এ ধরনের ঘটনাকে আশকারা দিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সে কারণেই সরকার এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।

৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ কোনও কর্মসূচি দেবে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কোনও কর্মসূচির প্রয়োজন নেই। আমাদের পক্ষ থেকে উসকানিমূলক কিছুই হবে না। আমরা সরকারে আছি, দেশের শান্তি-স্থিতি বজায় রাখার দায় আছে আমাদের। আমরা সতর্ক থাকব। যদি কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়, উসকানিমূলক বা নাশকতাজাতীয় কিছু করা হয় এবং সহিংসতার দেখা যায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে রেখে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

এর আগে, সিরডাপ মিলনায়তনে মন্ত্রী জাইকার অর্থায়নে দুই হাজার ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্টার্ন ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের রংপুর জোনে ১৯টি এবং রাজশাহী জোনে ১৬টি ব্রিজের চুক্তিতে সই করেন।

প্রকল্পের আওতায় ছোট-বড় ৬১টি পিস গার্ডার ও স্টিল গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, প্রায় ৪২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

এসএইচ/