পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৩৭ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার
পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। আজ শুক্রবার করাচিতে এক সেমিনারে তিনি বলেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। শুধু তাই নয়, এখনওে দেশটিতে গণতন্ত্র অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্বাধীনতার ৭০ বছর অতিক্রম করলেও পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত কেন গণতন্ত্র আদায়ের সেমিনার হয়, আলোচনা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে নওয়াজ শরীফ এ মন্তব্য করেন। সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাস বার বার গণতন্ত্রহীনতায় ভোগেছে। বার বার দেশটির গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে সবসময় গণতন্ত্র নিজের পা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু বারবার এটি আক্রান্ত হয়েছে। ১৯৫৩ সালের উদাহরণ টেনে নওয়াজ শরীফ বলেন, খাজা নাজিমুদ্দিনকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন। এরপর থেকে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রীদের খেলার পুতুল বানিয়ে রেখেছে একটি অংশ।
বিচার বিভাগের সমালোচনা করে নওয়াজ শরীফ বলেন, ৫৩ সালের পর থেকে দেশটিতে গণতন্ত্র বারবার আক্রান্ত হয়েছে। বিচার বিভাগের উচিত ছিল, গণতন্ত্র রক্ষায় এর পাশে দাঁড়ানো। তবে বিচার বিভাগ গণতন্ত্র নয়, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন দিয়েছে। এমনকি তারা মার্শাল লকে বৈধ করেছেন, গণতন্ত্রকে চাপা দিয়ে।
এসময় তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়ণ পরবর্তী ১৯৫৮ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তখন মার্শাল ল জারি করা হয়। তখনও বিচার বিভাগ এটাকে সমর্থন দিয়েছে। এমনকি ১৯৯৯ সালে যখন আমাদের সরকারকে সেনাবাহিনী উৎখাত করে, তখন সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারক বলেন, খুব ভাল একটি কাজ হয়েছে।
সূত্র: দ্য ডন
এমজে/